পূর্বনির্ধারিত অন্য কাজে ব্যস্ত থাকবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাই শনিবার পূর্বতন সোভিয়েতের শেষ প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচভের শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকতে পারছেন না তিনি।
সোভিয়েত ভেঙে দেওয়াকে কখনও মানতে পারেননি পুতিন। সেই ভাঙনের ক’বছর তিনি কাটিয়েছেন বেলারুশে গা ঢাকা দিয়ে। ২০০৫-এ সোভিয়েত ভাঙার ঘটনাকে পুতিন ‘বিংশ শতাব্দীর সব চেয়ে বড় ভূ-রাজনৈতিক বিপর্যয়’ আখ্যা দিয়েছিলেন। এ জন্যই গর্বাচভকে তিনি ক্ষমা করতে রাজি নন। পুতিন মনে করেন, গর্বাচভের পশ্চিমা-প্রীতিই সোভিয়েত ভাঙার মূলে। বুধবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র পুতিনের পক্ষে যে শোকবার্তা পাঠ করেছিলেন, তাতেও ছিল এই অভিযোগ।
পুতিনের সঙ্গে টালবাহানার সম্পর্ক ছিল গর্বাচভের। কখনওই তাঁকে আমল দেননি পুতিন। ২০১৪-য় ক্রাইমিয়া দখলের সময়ে গর্বাচভের সঙ্গে আলোচনা করেননি। তবে বিবৃতি দিয়ে পুতিনের সেই পদক্ষেপকে ‘প্রয়োজনীয় ও ইতিবাচক’ বলে সমর্থন জানিয়েছিলেন গর্বাচভ। শেষ বার বর্ষীয়ান নেতার খোঁজ নিতে পুতিন তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন ২০০৬-এ। বছর খানেক ধরে বার্ধক্যজনিত নানা অসুস্থতায় কাবু হয়ে বার বার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন গর্বাচভ।
১৯৯১ সালে যে নতুন রাশিয়ার জন্ম হল, সেই নতুন দেশে রাজনীতিক হিসাবে মিখাইল গর্বাচভের তেমন ভূমিকা ছিল না। তিনি রাজনীতি থেকে দূরে থেকে শিক্ষা এবং মানবিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেই বেশি করে নিজেকে যুক্ত করেছিলেন। মিখাইল গর্বাচেভের মৃত্যুতে তার প্রতি সারা বিশ্ব থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, “তিনি ইতিহাসের গতিপথ বদলে দিয়েছিলেন।”