নদিয়া: পুরভোটে তৃণমূলের (TMC) সুনামিতেও সিপিএম (CPIM) খড়কুটোর মতো আঁকড়ে ধরে রাখল তাহেরপুর পুরসভা (Taherpur Municipality)। ২০১৫ সালের পুরভোটেও তাহেরপুর সিপিএমের CPIM Won Taherpur) দখলেই ছিল। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ১০৮টি পুরসভার ভোটের ফল প্রকাশ হল বুধবার। তাতে দেখা যাচ্ছে, ১০৮টির মধ্যে এই একটি পুরসভাই বামেদের হাতে এসেছে। কিংবা বলা চলে, এবারও তাহেরপুর পুরসভার দখল কায়েম রাখতে পারল তারা। ১৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে বামেরা পেয়েছে আটটি। পাঁচটিতে জয় পেয়েছে তৃণমূল।
২০১৯-এর লোকসভা ভোটে তাহেরপুরের সবকটি ওয়ার্ডেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। বামেরা সেই সময় তৃতীয় স্থানে ছিলেন। আবার গত বিধানসভা ভোটে পালটে যায় রাজনৈতিক পরিস্থিতি। ওই ভোটে অধিকাংশ ওয়ার্ডেই এগিয়ে যায় তৃণমূল। এই অবস্থায় বামেরা পুরসভার ক্ষমতা এবারও ধরে রাখতে পারবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু দেখা গেল, সমস্ত জল্পনা কল্পনা উড়িয়ে সিপিএম তথা বামেরা তাহেরপুর পুরসভা নিজের হাতে রাখতে পেরেছিল।
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বামেরা একটি আসনও পায়নি। একই হাল হয় কংগ্রেসেরও। যা বঙ্গ রাজনীতির ইতিহাসে নজিরবিহীন। বামেদের ভোট শতাংশও প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছিল। পরবর্তীকালে উপনির্বাচনের আগে পরিস্থিতি সামান্য বদল ঘটে। নদিয়া জেলায় তাহেরপুর লাগোয়া শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বামেদের ভোট বেশ কিছুটা বাড়ে। বিজেপিকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে সিপিএম। এরপরেই কলকাতাসহ পাঁচটি পুরনিগমের ভোট হয়। তাতেও বামেদের ভোট শতাংশ সামান্য হলেও বেড়েছে।
আরও পড়ুন- WB Civic Polls Result: জয়নগরের ‘মোয়া’ তৃণমূলের হাতে, মিথ ভাঙল ‘বিরোধী’ পুরসভার
১০৮টি পুরসভার ভোট বামেরা ফলাফল কেমন করবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল ছিল। বামেদের দাবি, তৃণমূল সরকারের নানা প্রশাসনিক বাধা সত্বেও তাহেরপুর শহরে যথেষ্ট উন্নয়ন করা হয়েছে গত পাঁচ বছরে। সিপিএম নেতাদের অভিযোগ, রবিবার ভোটের দিনও শাসকদল ব্যাপক সন্ত্রাস করেছে। আগেরদিন পাড়ায় পাড়ায় ভোট দিতে না যাওয়ার জন্য হুমকি দিয়েছে। সেই সব হুমকি অগ্রাহ্য করে মানুষ ভোট দিতে বেরিয়েছে। এক সিপিএম নেতা বলেন, ‘তাহেরপুরের মানুষ বামফ্রন্টের উপরেই আস্থা রেখেছে। তাই এই জয়।’