শান্তিপুর: চার কেন্দ্রে উপনির্বাচনে প্রায় দেড় গুন ভোট বেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। শাসকদলের এই রমরমার মধ্যে ভোট শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে সিপিএমের। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বামেরা ৪.৭ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। আর চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বাম প্রার্থীরা পেয়েছেন ৮.৪৯ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ, প্রায় দ্বিগুন ভোট পেয়েছেন তারা।
চার কেন্দ্রের মধ্যে তিন কেন্দ্রেই জামানত জব্দ হয়েছে প্রার্থীদের। তবে মান রেখেছেন নদিয়ার শান্তিপুর কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সৌমেন মাহাতো। তিনি সিপিএম পেয়েছেন মোট প্রদত্ত ভোটের ১৯.৫৭ শতাংশ। মহম্মদ সেলিম, বিমান বসু, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়রা তাঁর প্রচারে এসেছিলেন। বিধানসভা নির্বাচনে জোটের ফর্মুলা অনুযায়ী সংযুক্ত মোর্চার তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছিল কংগ্রেস। ৪.৪৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। এ বার কংগ্রেসের ভোট নেমে গিয়েছে ১.৪১ শতাংশে।
আরও পড়ুন: চার কেন্দ্রে ভরাডুবির পর ‘দিশাহীন’ সাংবাদিক সম্মেলন বিজেপির
দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা, উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ এবং কোচবিহারের দিনহাটা কেন্দ্রে বামপ্রার্থীদের জামানত জব্দ হলেও শান্তিপুরের ক্ষেত্রে তা হয়নি। বিজেপি প্রার্থীকে রীতিমতো টেক্কা দিয়েছে সিপিএম। শান্তিপুরের ভূমিপুত্র সৌমেন নিজের ওয়ার্ড থেকে প্রায় ৮৫০ ভোটের লিড দিয়েছেন দলকে। তৃণমূলের এই রমরমার মধ্যে যা কার্যত নজিরবিহীন বলে মনে করছে বাম নেতারা। ৪৬ বছর বয়সী সৌমেনের পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে।
সিপিএমের শান্তিপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক সৌমেন মাহাতো ২০০৫ থেকে টানা তিন বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। শান্তিপুর পুরসভার বিরোধী দলনেতার দায়িত্বও সামলেছেন। করোনাকালে রেড ভলান্টিয়ারের ভূমিকায় সৌমেনকে দেখেছে শান্তিপুরবাসী। তৃণমূল স্তরে ব্যাপক পরিচিতির জন্য নিজের ওয়ার্ড থেকে এই বিপুল ভোটের লিড নিতে পেরেছেন বামনেতা, এমনটাই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।
আরও পড়ুন: মান্ডি লোকসভা এবং তিনটি বিধানসভা আসনে বিজেপিকে হারিয়ে হিমাচলে চমক দিল কংগ্রেস
১৯৯৫ সালে কলেজে পড়ার সময় এসএফআই করলেও সৌমেন সিপিএমের সদস্য হন ১৯৯৯ সালে। ডিওয়াইএফ-এর জেলা কমিটির সদস্য, শান্তিপুর শহর লোকাল কমিটির সম্পাদকও ছিলেন। এর পর সিপিএমের শান্তিপুর শহর লোকাল কমিটির সম্পাদক হন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে অস্তিত্ব হারিয়েছিল বামেরা। এই নির্বাচনে একা লড়ে কিছুটা হলেও জমি পুনরুদ্ধার করল তারা। উপনির্বাচনে আসন না পেলেও প্রায় দ্বিগুন ভোট শতাংশই এখন অক্সিজেন লাল ঝান্ডার কাছে।