কলকাতা: নানাবিধ কারণে দেশ জুড়ে বিজেপি বিরোধী হাওয়া উঠেছে। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে মোদীকে হঠানোর দাবিও উঠতে শুরু করেছে। এই মুহূর্তে বিজেপি এবং মোদির বিরোধিতায় সমগ্র দেশের মধ্যে তৃণমূলের অবস্থান একদম সামনের সারিতে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই আগামী লোকসভায় লড়াই হবে। এমনই জানালেন তৃণমূল নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্র।
আরও পড়ুন- মমতার ডাকে দিল্লিতে ২৮ জুলাই একজোট বিরোধীরা, আমন্ত্রিত বামেরাও
গত ২১ জুলাই শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে কড়া ভাষায় বিজেপিকে আক্রমণ করেছিলেন মমতা। সেই সঙ্গে কংগ্রেস-সহ বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে এক ছাতার তলায় এসে লড়াই করার আহ্বান জানিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই অনুযায়ী ফ্রন্ট গড়ার কথাও শোনা গিয়েছে মমতার মুখে। সেই লক্ষ্যেই আগামী সপ্তাহে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা।
আরও পড়ুন- সোনার পদক আশা করেছিলেন চানুর পিতামাতা
জাতীয় রাজধানীতে প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির পাশাপাশি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীদের সঙ্গেও দেখা করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। শোনা যাচ্ছে প্রাক্তন কংগ্রেস সুপ্রিমো সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও একান্তে বৈঠক করার কথা রয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোর। এই বিষয়েই মুখ খুলেছেন তৃণমূল নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্র। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া ওমপ্রকাশবাবু বলেছেন, “ভারতের সাংবিধানিক গণতন্ত্র রক্ষায় সামনে থেকে লড়াই করছে তৃণমূল। আমরা চাইছি সকল বিরোধী রাজনৈতিক দল একত্রিত হোক। আমরা সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করে লড়াইয়ের চেষ্টা করছি।”
আরও পড়ুন- ১৯৯১ সালের থেকেও ভয়ঙ্কর অবস্থায় ভারতের অর্থনীতি: মনমোহন সিং
এই একই প্রয়াস আগেও নিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে এক মহাসমাবেশ করেছিল তৃণমূল। যেখানে দেশের প্রায় সক্ল অবিজেপি রাজনৈতিক দলের নেতারা হাজির হয়েছিলেন। কংগ্রেস, সপা ছাড়াও দক্ষিণের রাজনৈতিক দলের নেতাদেরকেও ওই মঞ্চে দেখা গিয়েছিল। সেই মঞ্চ থেকেই মোদি বিরোধিতার সুর চড়িয়েছিলেন সকলে। যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- রাজ্যসভায় তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন জহর সরকার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফেডারেল ফ্রন্ট গড়ার ডাক দিয়েছিলেন। তিনি প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যে রাজ্যে যে দল শক্তিশালী সেখানে কেবল তারাই বিজেপির বিরুদ্ধে প্রার্থী দিক, বাকিরা সাহায্য করবে। যদিও সেই প্রস্তাব কেউই মানেনি। পশ্চিমবঙ্গে পৃথক লড়াই করে কংগ্রেস। উত্তরপ্রদেশে সপা এবং কংগ্রেস আলাদা লড়াই করে। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সংসদ দখল করে বিজেপি। পাঁচ বছর পর ২০২৪ সালে কোন পথে লড়াই হবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।