কলকাতা: প্রথম ধাক্কাটা (TMC slams CPIM) লেগেছিল ২০০৯-এর লোকসভায়। ২০১১-এর বিধানসভায় ৩৪ বছরের রাজ্যপাট হাতছাড়া হয়েছিল বামেদের। তার পর থেকে সময় যতই গড়িয়েছে, বাংলায় লালপার্টি (TMC slams CPIM) ততটাই ক্ষয়িষ্ণু হয়েছে। একুশের বিধানসভাতেও ঐতিহাসিক রেজাল্ট করেছে তারা। স্বাধীনতার পর এই প্রথম ‘শূন্য’। তৃণমূলের মুখপত্র জাগোবাংলার সম্পাদকীয়তে এ বার তুলোধোনা করা হল সিপিএমকে (CPIM)। লেখা হয়েছে, শীঘ্রই জাদুঘরে স্থান পেতে চলেছে সিপিএম। কিছুটা কৌশলগত ভাবেই ত্রিপুরা পুরভোটের প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছে তৃণমূল। সেখানে তৃণমূলকে তৃতীয় স্থানে পাঠিয়ে দ্বিতীয় হয়েছে সিপিএম।
‘জাগোবাংলা’র সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, ‘কলকাতার ধর্মতলা চত্বরে প্রায় শতাব্দীপ্রাচীন বহু বাড়ি রয়েছে। তার মধ্যে একটি সাদা বাড়ি, যাকে কলকাতার মানুষ জাদুঘর হিসেবেই জানেন। শীতকালে ভিড় থাকে। ছুটির দিনে ভিড় বাড়ে… সেই জাদুঘরেই নিজেদের নাম খোদাই করে রাখার জন্য চ্যালেঞ্জ নিয়েছে রাজ্যের বামেরা। ২৩৬ থেকে এখন তারা আক্ষরিক অর্থেই শূন্য। বিধানসভায় শূন্য। লোকসভায় শূন্য। কলকাতা পুরনির্বাচন শেষ হলে সেখানেও বিগ জিরো নিশ্চিত। পঞ্চায়েতেও ঘটনার পুনরাবৃত্তি।’
প্রতিটা ভোটের রেজাল্ট বেরোনোর পর বামেদের তরফে নিয়ম করে ‘অজুহাত’ দেওয়া হয়ে থাকে। ব্রিগেডের ভিড়ের প্রতিফলন কেন ভোটবাক্সে দেখা গেল না, তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণও হয়। তবে তাতেও পরবর্তী ভোটে পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয় না। সেই বিষয়টিকে কটাক্ষ করে তৃণমূলের মুখপত্রে লেখা হয়েছে, ‘…সাংবাদিকদের ডেকে বলা হবে আমরা মানুষের মানসিকতা ধরতে পারিনি। কেন এমন হল ভেবে দেখব। পার্টিতে আলোচনা করব। ভুল শুধরে নেব।’
আরও পড়ুন: Shiv Sena Congress: কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপি বিরোধী জোট অসম্ভব, মুখপত্রে লিখল শিবসেনা
বিধানসভা ভোটে শরিকদের উপেক্ষা করে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে সিপিএমকে খোঁচা দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের মুখপত্রে। লেখা হয়েছে, ‘কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে ভরাডুবির পরেও সিপিএম নেতাদের চেতনার এতটুকুও পরিবর্তন হয়নি। শরিকদের হুমকি উপেক্ষা করে কংগ্রেসের জন্য বেসরকারি ভাবে আসন ছেড়ে নিজেদের জেদ বজায় রেখেছে। জেদের রেজাল্ট আলিমুদ্দিনও জানে, জানে বিধানভবনও।’
ত্রিপুরা পুরভোটের সার্বিক ফলের বিচারে তৃণমূলকে টেক্কা দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিপিএম। ভঙ্গুর সিপিএমের কাছে তৃণমূল যে কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে, তা বলাই যায়। ‘জাগোবাংলা’য় অবশ্য এই প্রসঙ্গে একটি বাক্যও খরচ করা হয়নি। দিনকয়েক আগেই কংগ্রেসকে ‘ডিপফ্রিজে’ পাঠিয়েছিল তৃণমূল। এ বার জোড়াফুল শিবিরের টার্গেট সিপিএম। তৃণমূলের মতে, ‘একদিকে জনবিচ্ছিন্নতা, অন্যদিকে মানুষের মন বোঝার ব্যর্থতায় আগামিদিনে কলকাতার জাদুঘরে নয়া সংযোজন হতে চলেছে সিপিএম।’
আরও পড়ুন: KMC Election 2021: কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, জানাল কমিশন