মুম্বই: শিবসেনা সম্ভবত হাত ধরছে কংগ্রেসের। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের শুরুতেই ইউপিএ বা সংযুক্ত প্রগতিশীল জোটে যোগ দেবে উদ্ধব ঠাকরের দল শিবসেনা। আর এই অঙ্ক মিলে গেলে বেশ খানিকটা অস্বস্তিতে পড়তে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসকে।
কোন রসায়নে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে শিবসেনা? এটা একেবারেই কাকতালীয় ঘটনা নয়। বরং রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা দেখা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুম্বই সফরের পর পরই শিবসেনা ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছে কংগ্রেসের সঙ্গে। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর বক্তব্য, ইউপিএ বলে কিছু নেই, যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়েছে। সম্ভবত সেই বিতর্কের আঁচ থেকেই নিজেদের আলাদা করতে চাইছে উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা।
তা হলে কংগ্রেসের প্রতি শিবসেনা কি অত্যন্ত অনুগত? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা তা বলছেন না। বরং তাঁদের মত, মহারাষ্ট্রে আসলে ঘর সামলাতে চাইছে শিবসেনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যান্য রাজ্যেও তাঁর দলের শক্তি বাড়াতে চাইছেন। অনেকটা এ জন্যই তাঁর মুম্বই সফর। শিবসেনার আশঙ্কা, এতে করে রাজ্যে শিবসেনা, ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি এবং কংগ্রেসের জোট ধাক্কা খেতে পারে। কংগ্রেস যদি শিবসেনা এবং তৃণমূল কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠতায় জোট থেকে বেরিয়ে যায় তো সেক্ষেত্রে সরকার ধরে রাখা শিবসেনার কাছে প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়বে।
অর্থাত ইউপিএ-তে যোগ দিয়ে শিবসেনা কংগ্রেসের হাত শক্ত করতে চাইছে তা নয়। ইউপিএ জোটকে আরও সুরক্ষা দিতে চাইছে তা নয়। মহারাষ্ট্রে শিবসেনা তার অস্তিত্ব রক্ষার দায়ে সোনিয়া গান্ধীর দলের হাত ধরছে। শিবসেনা এটা বুঝেছে, মহারাষ্ট্রের ঘরের মাঠে কংগ্রেস আহত হলে, চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লে, সেটা উদ্ধব ঠাকরের পক্ষে বিপদের। কেননা কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে মহারাষ্ট্রের জোট সরকারের কোনও অস্তিত্ব নেই।