বনগাঁ: বিজেপির (Bengal BJP) নতুন রাজ্য কমিটিতে মতুয়াদের প্রতিনিধিত্ব না থাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের দলীয় হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। বিধায়কদের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন অশোক কীর্তনিয়া, মুকুটমণি অধিকারী, সুব্রত ঠাকুর, অসীম সরকার এবং অম্বিকা রায়। এর পর থেকে তাঁদের নিয়ে জল্পনা চলছে। শান্তুনু (Shantanu Thakur) জানিয়েছিলেন, কেন গ্রুপ ছেড়েছি, সময়মতো জানাব। বাকিরা সেভাবে কিছু বলেননি। তবে তাঁদের অনেকেই শান্তনু্র সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এরই মধ্যে বিজেপির ৩ বিক্ষুব্ধ নেতাও শান্তনুর সঙ্গে বৈঠক করলেন।
বনগাঁর ‘বিদ্রোহী’ বিজেপি সাংসদের সঙ্গে বৈঠক করলেন জয়প্রকাশ মজুমদার, সায়ন্তন বসু এবং রীতেশ তিওয়ারি। রবিবার সন্ধেয় ঠাকুরনগরে শান্তনু ঠাকুরের বাড়িতে আচমকাই হাজির হয়ে যান তিন নেতা। তবে বৈঠকে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি তাঁরা৷ জয়প্রকাশ মজুমদার কিছু না বলেই গাড়িতে উঠে যান। সায়ন্তন বসু বলেন, যা বলার মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলবেন। সূত্রের খবর, সোমবারই দিল্লি যেতে পারেন মতুয়া সাংসদ শান্তনু। প্রধানমন্ত্রী সহ বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর।
মঙ্গলবার রাতে ঠাকুরনগরে শান্তনু হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপত্যাগী নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, বনগাঁ উত্তরের অশোক কীর্তনিয়া, হরিণঘাটার অসীম সরকার এবং রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। বৈঠকে গরহাজির ছিলেন বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক স্বপন মজুমদার, কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায়, এবং চাকদার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ। স্বপন মজুমদার বলেছিলেন, ‘শান্তনু যেসব প্রশ্ন তুলেছেন, দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসে সেগুলি মিটিয়ে নেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: Shantanu Thakur: বিজেপিতে মতুয়া বিরোধ বেড়েই চলেছে, শান্তনুকে নিয়ে বিব্রত দল
মতুয়া মন জয় করতে ২০২১-এর অনেক আগে থেকেই চেষ্টা চালাচ্ছিল বিজেপি। বড় মা-র কাছে আশীর্বাদ নিতে নরেন্দ্র মোদিকে ছুটে যেতে দেখা গিয়েছে৷ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের ওড়াকান্দিতেও মতুয়া ধামেও ছুটে গিয়েছিলেন৷ ভোট বাক্সে তার ফলও মিলেছে৷ বনগাঁ-সহ নদীয়ার মতুয়া প্রভাবিত বিধানসভাতে শাসকদল হারিয়ে জয় পেয়েছে বিজেপি৷ বর্তমান পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে বলে খবর৷ মতুয়া ক্ষোভ সামাল দিতে কার্যত হিমশিম খাচ্ছে রাজ্য বিজেপি। আপাতত শান্তনুর দিল্লি অভিযানের দিকে তাকিয়ে বঙ্গ বিজেপি।