কলকাতা: এক দশক আগে বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করেছিল কংগ্রেস। যদিও পরে তা ভেঙে যায়। গত দুই বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের সঙ্গে জোট গড়ে নির্বাচনে লড়াই করেছে কংগ্রেস। যদিও এখন পরিস্থিতি অনেকটাই পালটে গিয়েছে। বিজেপিকে রুখতে তাই তৃণমূলের সহযোগিতা চাইলেন কংগ্রেস নেতা রোহন মিত্র।
আরও পড়ুন- ধুপগুড়িতে মেয়ের ভিডিও ভাইরাল, মায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের ছেলে রোহন মিত্র। কিছু দিন আগেও পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এক সপ্তাহ আগে সেই পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন রোহন। যা নিয়ে রোহনের তৃণমূল যোগের জল্পনা শুরু হয়েছিল। শোনা গিয়েছিল ২১ জুলাই তৃণমূলে যোগ দেবেন তিনি। সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন খোদ রোহন। উলটে কংগ্রেসের হয়েই বন্ধুত্বের বার্তা দিলেন রাজ্যের শাসক তৃণমূলকে।
আরও পড়ুন- বিতর্ক সরিয়ে উপনির্বাচনে ইভিএম-ভিভিপ্যাটের ‘ফার্স্ট লেভেল চেকিং’ শুরু
গত দুই বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের সঙ্গে জোট গড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে কংগ্রেস। একুশের বিধানসভায় বাম-কংগ্রেস জোটের সঙ্গে দোসর ছিল আইএসএফ। ভোটে আত্মপ্রকাশ করা দল একটি আসন পেলেও শূন্য হয়ে গিয়েছে বাম-কংগ্রেস। উলটে আসন সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে বিজেপির। বিধানসভায় শূন্য হওয়া কংগ্রেসকে নিয়ে উপহাস করতে শুরু করেছে তৃণমূল। নেট দুনিয়ায় নিত্যদিন চলছে দেদার ট্রোল।
আরও পড়ুন- মাতাল স্বামীর ভয়ে বস্তায় লুকনো টাকা খেয়ে ফেলল দাঁতাল
যা নিয়েই মুখ খুলেছেন রোহন মিত্র। তৃণমূলকে বন্ধুত্বের বার্তা দিয়ে তিনি দাবি করেছেন যে একুশের বিধানসভায় তৃণমূলের পক্ষ নিয়েছিল কংগ্রেসের কর্মীরা। তাঁর কথায়, “তৃণমূল সমর্থকদের বোঝা উচিত যে গত বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের সময়ে ঘাসফুলের প্রার্থী এবং নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ নিয়েছিল কংগ্রেসের কর্মীরা। কংগ্রেস হাইকম্যান্ড মমতা এবং তাঁর দলের বিরোধিতা করলেও কর্মীরা তৃণমূলের পাশেই ছিল।”
বাংলার মাটিতে বিজেপির উত্থান রুখতে তৃণমূলকে সাহায্য করলেও জয়ের পরে তৃণমূলের রূপ বদলে গিয়েছে। এমনই দাবি করেছেন রোহন মিত্র। তাঁর কথায়, “ভোটের পর থেকে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কংগ্রেসকে নিয়ে উপহাস করছে। এখন বিজেপিকে রুখে দেওয়া আমাদের সকলের লক্ষ্য হওয়া উচিত। কিন্তু এমন চলতে থাকলে কোনও লাভ হবে না। উলটে বিজেপির সুবিধা হয়ে যাবে।” এরপরেই তৃণমূলকে বন্ধুত্বের বার্তা দিয়ে ঘাসফুলের নেতাকর্মীদের রোহন বলেছেন, “ভাবনাচিন্তা করে রণকৌশল স্থির করুন। এখনও যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়নি। সামনে শত্রু এখনও দাঁড়িয়ে।”