আগরতলা: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার ত্রিপুরায় বিজেপির ছবিটা আরও স্পষ্ট হচ্ছে। একদিকে মানিক সাহা শপথ নিয়ে দাবি করলেন, বিপ্লব দেবের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে। আর সেই শপথ অনুষ্ঠান বয়কট করে উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেব বর্মনের গোষ্ঠী বুঝিয়ে দিল, ফাটলটা কতটা লম্বালম্বি! নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মানিক সাহার শপথ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন না স্বয়ং উপমুখ্যমন্ত্রী।
রবিবার ত্রিপুরার নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মানিক সাহা। তার পর সাংবাদিক সম্মেলনে নয়া মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, দলে কোনও কোন্দল নেই। বিজেপির দলীয় সিদ্ধান্তেই বিপ্লব দেব মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছেড়েছেন। মানিকের কথায়, বিপ্লব দেবের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। শনিবারও উনি আমাকে নিয়ে রাজভবনে যান। আমার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বৈপ্লবিক-সাফল্যের কথা উল্লেখ করে মানিক বলেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আমলে রাজ্যে বিপুল উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে স্বপ্ন নিয়ে বিপ্লব দেবকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন, তা তিনি পূর্ণমাত্রায় পালন করেছেন। রাজ্যে উন্নয়নমূলক কাজের যে গতি বিপ্লব দেবের আমলে দেখা গিয়েছে, তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় আমার লক্ষ্য।
বিপ্লব দেবকে দল আরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার কথা বিবেচনা করেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে সরার কথা বলেছে বলেও এদিন দাবি করেন মানিক। তবে মানিক যখন সুখী বিজেপি সংসারের কথা বলছেন, তখনই উপমুখ্যমন্ত্রী উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেব বর্মনের শপথ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিতি বুঝিয়ে সামনে আনল ত্রিপুরা বিজেপির আসল ছবিটা।
২০১৬ সালে মানিক সাহা কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ২০২০ সালে তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল বিজেপি। মানিক সাহা পটনার সরকারি ডেন্টাল কলেজ ও লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিকেল কলেজ থেকে ডেন্টাল সার্জারিতে মাস্টার ডিগ্রি করেন। ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজে ডেন্টাল সার্জারির প্রফেসর ছিলেন মানিক। ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনেরও সভাপতি পদেও রয়েছেন তিনি।