নয়াদিল্লি: শুধু সময়ের অপেক্ষা। পঞ্জাবের (Punjab Election Result) মসনদে বসবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ। তার আগে বৃহস্পতিবার সহযোদ্ধাদের নিয়ে দিল্লির হনুমান মন্দিরে পুজো দিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সঙ্গে ছিলেন মণীশ সিসোদিয়া এবং সত্যেন্দ্র জৈন। কেজরিওয়াল বলেন, “আম আদমি পার্টির বিরুদ্ধে সমস্ত পার্টি জোট বদ্ধ হয়েছিল। আমাকে আতঙ্কবাদী বলা হয়েছিল। কিন্তু দেশের মানুষ বলে দিয়েছিল কেজরিওয়াল আতঙ্কবাদী নয়।”
এই প্রথম দিল্লির বাইরে ক্ষমতা দখল করছে আরবিন্দের ঝাড়়ু। পাঁচ রাজ্যের বুথ ফেরত সমীক্ষাতেও সেই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু, ২০১৭ সালের বুথ ফেরত সমীক্ষার কথা মনে অনেকই নুনের ছিটে দিয়েছিল। কটাক্ষ করে অনেককেই বলতে শোনা গিয়েছিল, ২০১৭ সালের বুথ ফেরত সমীক্ষায় পঞ্জাবে আপ ক্ষমতায় আসবে বলা হয়েছিল। কিন্তু মাত্র ২০টি আসন পায় ঝাড়ু। এবারও ২০১৭-র অনুরূপ হবে না, তা কে বলতে পারে! কিন্তু ১১৭ আসনের পঞ্জাব বিধানসভার ভোট গণনা শুরু হতেই আপ এগিয়ে থাকে। বুথ ফেরত সমীক্ষার থেকেও বেশি আসনে এগিয়ে থাকছে আপ। আপের তারকা প্রচারক রাঘব চাড্ডা বলেছেন, এই ফল প্রমাণ করে কংগ্রেসের বিকল্প আমরাই। আজ আমরা জাতীয় দলে উন্নীত হয়েছি। আপ নেতা মণীশ শিসোদিয়া বলেছেন, কেজরিওয়ালের আদর্শ রাজ্য শাসনের নীতির জয় হয়েছে। আপ প্রমাণ করেছে জাতীয় স্তরে এইভাবে রাজ্য শাসন করা সম্ভব।
দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ভগবন্ত মান (Bhagwant Mann) ধুরি কেন্দ্রে ৫৮ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন। বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি চমকপুর সাহিব ও ভদৌর দুটি কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়ে দুটিতেই পিছিয়ে পড়েছেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোৎ সিং সিধু অমৃতসর পূর্ব ও স্পিকার রাণা কাঁওয়ারপাল সিং এখনও পর্যন্ত পিছিয়ে রয়েছেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে।
Delhi CM and Aam Aadmi Party leader Arvind Kejriwal along with Manish Sisodia and Satyendar Jain offers prayers at Hanuman Temple in Delhi, as AAP sweeps Punjab elections pic.twitter.com/nutoWXwefS
— ANI (@ANI) March 10, 2022
আরও পড়ুন-Goa Election results 2022: গোয়ায় তৃণমূলের জোটসঙ্গীকে নিয়ে সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি
১১৭ আসন বিশিষ্ট পঞ্জাব বিধানসভায় এবার আপ সকলের পছন্দের ছিল। কেজরিওয়াল পঞ্জাবে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন। তাঁর স্লোগান ছিল ‘বদলাও’ অর্থাৎ বদল কর। অরবিন্দের ডাক ছিল, পঞ্জাবে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল লুঠের রাজনীতি চালিয়েছে। শিরোমণি অকালি দল ও কংগ্রেস একের পর এক ক্ষমতায় এসে রাজ্যকে নিঃস্ব করেছে। ১৯৬৬ সাল থেকে এই দুই পার্টি পঞ্জাব শাসন করেছে। এবার এই ব্যবস্থার পরিবর্তন হোক। শেষমেশ দ্বিতীয়বার বিধানসভা ভোটে লড়েই অমৃতসরের সিংহাসন দখল করতেই চলেছেন কেজরি। আট বছর দিল্লিতে ক্ষমতায় থাকার পর দ্বিতীয় কোনও রাজ্য দখল করতে চলেছে আম আদমি পার্টি।