বোলপুর: বিধানসভা ভোটের আগে কাজ করার জন্য অনেকেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন। যার মধ্যে অন্যতম ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর ভোটের পরে সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে ছবিটা। বিজেপির বহু নেতাকর্মী যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। তালিকায় সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়ও আছেন। দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজনীতি ছেড়েছেন আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়।
আরও পড়ুন- উলটপুরাণ, বেশি করে গোরুর মাংস খাওয়ার পরামর্শ বিজেপি মন্ত্রীর
এই সকল কারণের জন্য দায়ি শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের বিধায়কের কারণেই ভেঙে পড়ছে বিজেপি। এমনই দাবি করেছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। শুভেন্দুর দলবদল এবং তারপরে পুরনো দলের প্রতি কটু মন্তব্যের কারণেই বঙ্গ বিজেপির হাল বেহাল হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা।
আরও পড়ুন- বাবুল ভালো ছেলে, সাংসদ পদ ছাড়লে অনেক কথা বলব: অনুব্রত
একদা সতীর্থ নন্দীগ্রামের বিধায়ককে কাঠগড়ায় তুলে মমতার প্রিয় ভাই কেষ্ট বলেছেন, “শুভেন্দুর জন্যেই এখন বিজেপি ভাঙছে। সবাই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাচ্ছে। ওই একজনের জন্যেই সবাইদল ছাড়ছে।” নিজের যুক্তির স্বপক্ষে অনুব্রত মণ্ডল বলেছেন, “শুভেন্দু একটা দলে ১০ বছর খেলো-দেলো, মাখল, লেখাপড়া করল তারপরে অন্য দলে গিয়ে বদনাম করা শুরু করেছে।” সকল সুযোগ নিয়ে শুভেন্দুর মুখে তৃণমূলের নিন্দা বিজেপির নেতাকর্মীরাও ভালো চোখে দেখছেন না।
আরও পড়ুন- সিবিআই তদন্তকে সন্দেহ করা অযৌক্তিক, উন্নাও কান্ডে সাফ জবাব আদালতের
এই আলোচনা শুরু হয়েছিল বাবুল সুপ্রিয়কে কেন্দ্র করে। শনিবার আচমকা রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন আসানসোলের সাংসদ বাবুল। যা নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেছেন, “বাবুল সুপ্রিয় মন্ত্রী ছিল। কর্মী হিসেবেও খারাপ ছিল না। সংবাদ মাধ্যমে দেখলাম বাবুল নাকি সাংসদ পদ ছেড়ে দেবে। ও সাংসদ পদ ছাড়লে অনেক কথা বলার আছে। সাংসদ পদ আগে ছাড়ুক, তারপরে যা বলার বলব।”
বাবুলকে বিজেপি যথাযথ সম্মান দেয়নি বলেও দাবি করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। মোদি সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রীকে কী তৃণমূলে নেওয়া হবে? এই প্রশ্নের জবাবে অনুব্রত মণ্ডল বলেছেন, “সেটা আমি বলতে পারব না। কলকাতায় নেতানেত্রীরা রয়েছেন, তাঁরা ঠিক করবেন। আমি গ্রামের ছেলে চাষির ঘরের ছেলে। আমার অতো বড় মাথা আছে না অতো বুদ্ধি আছে!”