বোলপুর: আচমকা রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ। বিজেপি নেতার আচমকা সিদ্ধান্তে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এই অবস্থায় বাবুলের প্রশংসা শোনা গেল তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলের মুখে।
আরও পড়ুন- আফগানিস্তানের বিমানবন্দরে রকেট হামলা তালিবানদের
রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। যার দাপট রাজ্যবাসী দেখছেন ২০১৩ সাল থেকে। বিভিন্ন সময়ে অনুব্রতর নানান কীর্তি বিশেষ নজর কেড়েছে। কখন আবার বিতর্কও হয়েছে। দক্ষ সংগঠক কেষ্ট-র পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে নেত্রী মমতাকে। সেই অনুব্রত মণ্ডল মুখ খুলেছেন বাবুল সুপ্রিয়-র রাজনৈতিক সন্ন্যাস নিয়ে।
আরও পড়ুন- এখনই পিছু ছাড়ছে না, ফের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রাজ্যজুড়ে
শনিবার বিকেলের দিকে ফেসবুক পোস্ট করে নিজের জীবনের বড় সিদ্ধান্তের কথা জানান বাবুল সুপ্রিয়। যা নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেছেন, “বাবুল সুপ্রিয় মন্ত্রী ছিল। কর্মী হিসেবেও খারাপ ছিল না। মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়াতে দুঃখ পেয়েছিল। আমি জানি না বিজেপির কী রাজনীতি, কেনই বা ওর থেকে মন্ত্রক কেড়ে নিল!” সেই সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল আরও বলেছেন, “বাবুল ছেলে হিসেবে খারাপ নয়।”
আরও পড়ুন- বিজেপি ছাড়ার পর তৃতীয়বার পোস্ট এডিট, দাড়ি টানলেন ‘দলবদলের’ জল্পনায়
রাজনীতি ছাড়ার পাশাপাশি নিজের সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দেবেন বাবুল। শনিবারেই তা ফেসবুকে স্পষ্ট করে দিয়েছেন আসানসোলের সাংসদ। ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে অনুব্রত মণ্ডল আরও কিছু বলবেন। তাঁর কথায়, “সংবাদ মাধ্যমে দেখলাম বাবুল নাকি সাংসদ পদ ছেড়ে দেবে। ও সাংসদ পদ ছাড়লে অনেক কথা বলার আছে। সাংসদ পদ আগে ছাড়ুক, তারপরে যা বলার বলব।”
২০১৪ সাল থেকে আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। সেই সময়েই রাজনীতিতে যোগ বড় চমক দিয়েছিলেন তিনি। এরপরে ২০১৯ সালেও ওই কেন্দ্রে পদ্ম প্রস্ফুটিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে টালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে বাবুলকে প্রার্থী করে বিজেপি। সেই কারণেই বাবুলের মন ভেঙে গিয়েছিল বলে দাবি করেছেন অনুব্রত। তাঁর মতে, “বিধানসভায় প্রার্থী করার সময়েই মন ভেঙে গিয়েছিল বাবুলের। একজন সাংসদকে বিধায়কের আসনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল। তখন থেকেই তো মন ভেঙে গিয়েছিল।”