কলকাতা: আজ ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর (Bhawanipore) বিধানসভা উপনির্বাচনের (Byelection) ভোট গ্রহণ। এ জন্যে দিনভর ভবানীপুরের খবরে নজর থাকবে সকলের। কারণ, উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যাকে, নন্দীগ্রাম (Nandigram) বিধানসভায় চক্রান্ত করে হারানো হয়েছিল বলে অভিযোগ তৃণমূলের। শুধু কি তাই, এই কেন্দ্রে দ্রুত ভোট গ্রহণের দাবি থেকে শুরু করে ভোটঘোষণা, প্রচার পর্ব নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজা চলছেই। আর এই ভোটের ফলাফলের উপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মুখ্যমন্ত্রী‘ পদ নির্ভর করছে। এই কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপরীতে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল ও সিপিএমের প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস। তাই দিনভর প্রতিটি মুহূর্তের তাজা খবর পেতে নজর থাকুক কলকাতা টিভি ডিজিটাল পেজে।
ভবানীপুরে উপনির্বাচন না হলে সাংবিধানিক সঙ্কট দেখা দিতে পারে। এই মর্মে সুপারিশ করে কমিশনকে চিঠি লেখেন মুখ্যসচিব। ভোট বিজ্ঞপ্তিতে কমিশনও সেই কথা উল্লেখ করে। যা নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। কারণ, অতিমারির মাঝে কলকাতার মতো জায়গায় উপ-নির্বাচন করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপি। লোকাল ট্রেন বা স্কুল-কলেজ চালু হয়নি করোনার কারণে। এই অবস্থায় ভোটের আয়োজন কেন করা হয়েছে। এই প্রশ্ন তুলে আদালতে গিয়েছিল পদ্ম শিবির। সেই সঙ্গে উপ-নির্বাচনের প্রচারে হিংসার কারণ দেখিয়েও ভবানীপুর কেন্দ্রের ভোট স্থগিত রাখার দাবি করেছিল বিজেপি।
মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিল, যথা সময়েই অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বরই অনুষ্ঠিত হবে ভবানীপুর উপ-নির্বাচন। ভোট গ্রহণ থেকে শুরু করে ফলাফল ঘোষণা। সবই নির্বাচন কমিশনের পূর্ব ঘোষণা অনুসারেই হবে। অর্থাৎ, আগামী মাসের তিন তারিখে ভোট গণনার পরে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুর কেন্দ্রেও ওই একই সময়ে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
চলতি সপ্তাহের সোমবার, অর্থাৎ গত কাল ভবানীপুর উপ-নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিন ছিল। অন্তিম সময়ে প্রচারের ঝড় তোলার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। এক ঝাঁক নেতা-নেত্রীদের নিয়ে প্রচারের পরিকল্পনা ছিল পদ্ম শিবিরের। প্রচার শুরু হতেই দেখা যায় বিশৃঙ্খলা। স্থানীয়দের অনেকেই বিজেপি নেতাদের দেখে গো-ব্যাক স্লোগান দিতে শুরু করে। ক্রমে তা বড় আকার নেয়। কমিশনে নালিশ করে বিজেপি। এ কারণে বুধবার থেকেই ভবানীপুর কেন্দ্রে দেওয়া হয় বাড়তি ফোর্স। বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। নিরাপত্তায় থাকবেন ৫ জন জয়েন্ট সিপি পদমর্যাদার আধিকারিক। সঙ্গে থাকছেন ১৪ জন ডেপুটি কমিশনার ও ১৪ জন অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার। ৯ টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে থাকবে স্ট্রাইকিং ফোর্স, ১৩ টা কিউ আর টি ভ্যান, ৯ ফ্লাইং স্কোয়াড। এছাড়াও নিরাপত্তার জন্য প্রস্তুত থাকবে র্যাফ। র্যাফে থাকবে মহিলা অফিসারও। ভোর ৪ টে ৩০ থেকে থাকবেন ১০০ জন ট্রাফিক সার্জেন। গোটা ভবানীপুর কেন্দ্রে কড়া নিরাপত্তার জন্য রাখা হয়েছে ১০ টা নাকা পয়েন্ট।