নয়াদিল্লি, ২২ জুলাই: অসুস্থ সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধিকে হেনস্তা করার জন্যই ডেকে পাঠিয়েছে ইডি, এই অভিযোগ তুলে দেশের নানা প্রান্তে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ দেখালেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। গতকাল, বৃহস্পতিবারই দলের তরফে এই বিক্ষোভের-প্রতিবাদের কথা জানানো হয়েছিল। এদিনে সকাল থেকেই দিল্লি-কর্নাটক-সহ বিভিন্ন রাজ্যে পথে নামেন কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। আইন অমান্য করার অভিযোগে, একাধিক রাজ্য থেকে কংগ্রেস কর্মীদের গ্রেফতারের খবর এসেছে।
ন্যাশনাল হেরাল্ডের আর্থিক নয়ছয় মামলায় বৃহস্পতিবারই সোনিয়া গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তার পর থেকে সোমবার তলব করা হয়েছে তাঁকে। কিছু দিন আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী। এ ভাবে এক জন অসুস্থকে ইডির ডাকার অর্থ, তাঁকে হেনস্তা করা-অভিযোগে কংগ্রেসের। তাদের দাবি, সোনিয়া গান্ধিকে অপদস্থ করাই কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্য। আর সে কাজ করতেই বার বার ইডি ডেকে পাঠাচ্ছে সোনিয়াকে।
বৃহস্পতিবার প্রিয়াঙ্কা ও রাহুলের সঙ্গে ইডি অফিসে পৌঁছন সোনিয়া৷ প্রায় তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর দফতর থেকে বেরিয়ে যান৷ অথচ রাহুলের ক্ষেত্রে প্রতিবার কমপক্ষে ৯-১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে গিয়েছে ইডি৷ তাই বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সভানেত্রীর এত দ্রুত ইডি দফতর থেকে ছেড়ে চলে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে৷ গুঞ্জন ছড়ায়, অসুস্থতার কারণে সোনিয়া এদিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করার অনুরোধ করেন ইডি অফিসারদের কাছে৷
যদিও সেই জল্পনায় জল ঢেলে দেয় কংগ্রেস৷ দলের তরফে প্রবীণ নেতা পি চিদম্বরম বলেন, দুপুর তিনটের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডির কাছে আর কোনও প্রশ্ন ছিল না৷ সোনিয়া নিজে থেকেই প্রশ্ন পর্ব চালিয়ে নিয়ে যেতে বলেছিলেন৷ কিন্তু, জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষ করে ইডি৷
এদিকে সোনিয়া গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবারই রাস্তায় নামেন মল্লিকার্জুন খাড়গে, পি চিদম্বরম, অজয় মাকেন, কে সি বেণুগোপাল, অধীর চৌধুরী, শশী থারুর, সচিন পাইলট, অশোক গেহলটরা। দিল্লির রাস্তায় প্রতিবাদ শুরু হলে অধীর চৌধুরী, কে সি বেণুগোপাল-সহ প্রায় ৭৫ জন সাংসদকে আজ আটক করা হয়। কংগ্রেস সমর্থকরা এর বিরোধিতা করে দিল্লির স্টেশনে তিনটি ট্রেন থামিয়ে দেয়৷