নয়াদিল্লি: কৃষক নেতা যোগেন্দ্র যাদবকে এক মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে৷ লখিমপুর খেরি হিংসা কাণ্ডে মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করাই অপরাধ ছিল যোগেন্দ্রর৷ তাই, তাকে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা এক মাসের জন্য বহিষ্কার করেছে৷ আগামী এক মাস কিষাণ মোর্চার কোনও বৈঠকে থাকতে পারবেন না৷
তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি সহ কিষাণ মোর্চার কয়েকটি সংগঠন যোগেন্দ্র যাদবের বহিষ্কারের দাবি তোলে৷ কারণ, হিসাবে ওই সংগঠনের নেতারা জানান, লখিমপুর খেরি হিংসায় মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন৷ এটাই তাঁর অন্যতম অপরাধ৷
সূত্রের খর, বৃহস্পতিবার সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার বৈঠকের প্রথমেই যোগেন্দ্র যাদবকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়৷ খেরি হিংসায় মৃত কৃষক পরিবারে তরফে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়৷ কিন্তু, যোগেন্দ্র যাদব ক্ষমা চাইতে নারাজ ছিলেন৷ এরপরই এক মূহুর্ত দেরি না করে যোগেন্দ্র যাদবের বহিষ্কারের প্রস্তাব ওঠে৷ বিশেষ করে পাঞ্জাবের বেশ কয়েকটি কৃষক সংগঠনের তরফে রাগান্বিত ভাবে এই দাবি তোলা হয়৷
আরও পড়ুন-নাম নেই কারও, বাবুলের চিমটিতে লাগল শুধু আসানসোলের জিতেন্দ্র তিওয়ারির
সূত্রের আরও দাবি, ক্ষমা না চেয়ে যোগেন্দ্র যাদবের দাবি, শোকাহত পরিবারের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করতে পারি না৷ শোকাহত পরিবারের সঙ্গে কথা বলতেও সহকর্মীদের অনুমতির প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না৷ কারণ, কোনও শোকাহত পরিবারের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচারণ করা যায় না৷ যোগেন্দ্র যাদব আরও বলেন, ‘আপনি কখনও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে বৈষম্যমূলক আচারণ করতে পারেন না৷’
স্বরাজ ইন্ডিয়ার নেতা যোগেন্দ্র যাদব খেরি হিংসায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ফেরার পথে মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন৷ তারপর কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে চলা আন্দোলনের বহু সমর্থনকারীর কাছে বিষয়টি ‘বিরক্তি’ হয়ে পড়ে৷ মোখিক ভাবে যোগেন্দ্র যাদব ছাড়াও আরও কয়েকজন কৃষক নেতা মৃত বিজেপির পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান৷
আরও পড়ুন-পুলওয়ামা মডেল কি কুমিল্লাকাণ্ডেও ? সীমান্ত লাগোয়া দিনহাটা,শান্তিপুরে বিজেপির প্রচারে শুধুই বাংলাদেশ
উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর রবিবার উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর জেবার খেরিতে কৃষকদের মিছিলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে গাড়ি চালিয়ে দেয়৷ এই ঘটনায় আট জনের মৃত্যু হয়৷ এই ঘটনার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদত্যাগ সহ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা৷