কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: রাজনীতিতে সব হয়। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতীয় রাজনীতিতে ফের ছক্কা হাঁকালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরেই জানা গিয়েছে, যশবন্ত সিনহা তাঁর প্রচার শুরু করবেন কেরল থেকে। যশবন্তকে বিরোধীদের সর্বসম্মত প্রার্থী বাছাই করতে সর্বপ্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রীই। এক ছাতার তলায় নিয়ে এসেছিলেন সাপে-নেউলে সম্পর্কের বামেদেরও। এবার সেই সিপিএম নেতৃত্বাধীন কেরল থেকে যশবন্তের প্রচার-দৌড় শুরু করিয়ে আরও একটি চমক দিলেন মমতা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজীবন লড়াই করেছেন এ রাজ্যে সিপিএমের অপশাসনের বিরুদ্ধে। সিপিএমও তাঁকে তাদের পতনের কারিগর হিসেবেই দেখে। কিন্তু বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে সেই বামেদের সঙ্ঘ বিরোধী টেবিলে বসাতে সফল হন মমতা। গোঁড়া কংগ্রেস বিরোধী রাজনীতিতে অভ্যস্ত সিপিএম-এর কেরল লবিও। সেই কেরল থেকে বিজেপির প্রাক্তনী তথা মমতার পছন্দের প্রার্থী যশবন্তকে প্রচার শুরু করানোর পিছনেও তাঁর মস্তিষ্ক রয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত।
আগামী বুধবার, ২৯ জুন কেরল যাবেন যশবন্ত সিনহা। তার পরদিন যাবেন ডিএমকে শাসিত তামিলনাড়ুতে। ১ জুলাই রাষ্ট্রপতি পদের প্রচারে মোদি-শাহের গুজরাতে পা রাখবেন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী। ২ জুলাই তাঁর কর্নাটকে যাওয়ার কথা।
আরও পড়ুন- Presidential Election 2022: রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্তের মনোনয়ন জমা
এদিন মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, এটা কোনও দলের বিরুদ্ধে দলের, ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যক্তির লড়াই নয়। এটা আদর্শের লড়াই। উল্লেখ্য, মনোনয়ন পেশের সময় কংগ্রেস নেতা রাহুল যশবন্তের পাশেই ছিলেন। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও বলেন, দ্রোপদী মুর্মুর বিরোধী আমরা নই। কিন্তু এই নির্বাচন নীতি-আদর্শের। এ ব্যাপারে আমরা সকলে একজোট হয়েছি। প্রসঙ্গত, ইয়েচুরিও মনোনয়ন পেশের সময় উপস্থিত ছিলেন। হাজির ছিলেন মোট ১৬টি দলের প্রতিনিধিরা।