প্রয়াগরাজ: সোমবার নিজের ঘর থেকে ভারতীয় অখণ্ড পরিষদ সভাপতি মহন্ত নরেন্দ্র গিরির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়৷ এই ঘটনায় একটি ৭ পাতার সুসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে৷ সেই নোটে তাঁর শিষ্য আনন্দ গিরি এবং অন্য কয়েকজনের নাম রয়েছে৷ যাঁরা নরেন্দ্র গিরিকে “হুমকি দিয়েছে এবং আত্মহত্যার জন্য বাধ্য করেছে” বলে উল্লেখ রয়েছে। মঠ ঘিরে একাধিক ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে৷ সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ও উঠে এসেছে নোটে। পুলিশ সূত্রে খবর, সুইসাইড নোটে নরেন্দ্র গিরি তাঁর উত্তরাধিকারের বিষয়টিও লিখে গিয়েছেন। এরপরই নরেন্দ্র গিরি ও তাঁর শিষ্য আনন্দ গিরির ‘গুরু-শিষ্য’ সম্পর্ক নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে৷
নোটে নরেন্দ্র গিরি লেখেন, ‘আমি প্রয়াগরাজ পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আবেদন করছি যে, উল্লিখিত নামের ব্যক্তিরা আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী৷ তাই, প্রাথমিক ভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি রইল৷’
এডিজি প্রশান্ত কুমার বলেছেন, সুইসাইড নোটে মহন্ত গিরি মঠ ও আশ্রম নিয়ে ভবিষ্যতে কী করতে হবে, তা লিখে গিয়েছেন। লিখে গিয়েছেন, কী ধরনের ব্যবস্থা হবে, কী করতে হবে। সুইসাইড নোটে তা এর ধরনের উইল-ই বলা যায়। কাকে কী দিতে হবে এবং কার সঙ্গে কী ব্যবস্থা করতে হবে- তা সবিস্তারে জানানো হয়েছে।
এ দিকে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ মহন্ত নরেন্দ্র গিরির ‘আত্মহত্যা’র ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে৷ বিশেষ তদন্তকারী দলও গঠন করা হয়েছে৷ যারা গোটা ঘটনার তদন্ত করবে৷ মহন্ত নরেন্দ্র গিরি অখিল ভারতীয় অখণ্ড পরিষদের সভাপতি ছিলেন৷ তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ নিয়ে অনেক সাধু সন্দেহ প্রকাশ করেছেন৷ সুইসাইড নোটের সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
আরও পড়ুন-নতুন ঠান্ডা যুদ্ধ চায় না আমেরিকা, নাম না করে চীনকে বার্তা বাইডেনের
মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সূত্রে খবর, নরেন্দ্রগিরির শিষ্য আনন্দগিরিকে হরিদ্বার থেকে আটক করা হয়েছে৷ সুইসাইড নোটে তাঁর নাম থাকার কারণে সোমবার রাতেই আটক করা হয়েছে৷ এডিডি আইন শৃঙ্খলা প্রশান্ত কুমার বলেন, সুইসাইড নোটের ভিত্তিতে সোমবার রাতে এফআইআর করা হয়েছে৷ তিনি আরও বলেন, “নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ” তদন্ত চলছে৷ রাজ্য পুলিশ মামলা পরিচালনা করতে সক্ষম। সুইসাইড নোটের সত্যতা সম্পর্কে কুমার বলেন, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা সুইসাইড নোট খতিয়ে দেখছেন।
অন্যদিকে, আনন্দ গিরি বলেন, আমার সঙ্গে গুরুর কোনও বিবাদ ছিল না। কয়েকজন গুরুজীর সঙ্গে ওঠা-বসা করতেন। ওই সব লোকজনের নজর মঠের জমির ওপর ছিল। আমি মঠের জমি বিক্রির বিরুদ্ধে ছিলাম। গুরুজী আমাকে বলেছিলেন, এই সব লোকজন ঠিক নয়। ওই সব লোকজন গুরুজীকে দূরে সরিয়ে আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে।