নয়াদিল্লি: সেপ্টেম্বর মাসের ২১ তারিখের মধ্যে কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি নির্বাচন সেরে ফেলার কথা৷ গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ নেতারা সভাপতি হিসেবে ফের রাহুলকেই চাইছেন৷ কিন্তু তাঁকে এখনও রাজি করানো যায়নি৷ এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি নির্বাচনের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে৷ রাহুলকে শেষ পর্যন্ত রাজি করানো না গেলে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে বলেও জল্পনা ছড়িয়েছে৷ তাই যেভাবে হোক রাহুলকে রাজি করানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন নেতারা৷ দলের প্রবীণ নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলে দিয়েছেন, ‘রাহুল গান্ধীকে সভাপতি হতে আমরা জোর করব৷’
২০১৭ সালে কংগ্রেস সভাপতি পদে রাহুলকে বসান সোনিয়া৷ তাঁর নেতৃত্বে ১৯-এর লোকসভা ভোটে লড়াই করে কংগ্রেস৷ কিন্তু নরেন্দ্র মোদির দাপটে নির্বাচনে ভরাডুবি হয় কংগ্রেসের৷ হারের দায় স্বীকার করে সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন রাহুল৷ তারপর থেকে কংগ্রেসে কোনও স্থায়ী সভাপতি নেই৷ অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সোনিয়া গান্ধী৷ কংগ্রেস নেতারা চাইছিলেন, রাহুল রাজি না হলে সোনিয়াকে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোট পর্যন্ত সভানেত্রী পদে রেখে দেওয়া৷ কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে সোনিয়া এখন অব্যাহতি চাইছেন৷ তাই গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠরা সভাপতি হিসেবে রাহুলকেই চাইছেন৷ রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ‘গোটা দেশে রাহুলের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে৷ কংগ্রেসের মধ্যে তিনি যোগ্য ব্যক্তি৷’ পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে খাড়গে বলেন, ‘আপনারাই তাহলে বিকল্পের খোঁজ দিন৷ রাহুল ছাড়া কংগ্রেসে আর কে আছে?’
রাহুলকে রাজি করানোর জন্য সব চেষ্টাই করছেন কংগ্রেস নেতারা৷ দরকার পড়লে তাঁকে জোর করা হবে৷ এ প্রসঙ্গে সোনিয়ার উদাহরণ তুলে আনেন মল্লিকার্জুন৷ তিনি বলেন, ‘একদিন সব প্রবীণ নেতারা দলের জন্য সোনিয়াকে জোর করে রাজনীতিতে এনেছিল৷ একই রকমভাবে কংগ্রেসের জন্য, দেশের একতা রক্ষার জন্য, বিজেপি-আরএসএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য রাহুলকে দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করা হবে৷’ সভাপতি নির্বাচনের নির্ঘণ্ট নিয়ে আগামী রবিবার কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি বৈঠকে বসছে৷ বিদেশ থেকে ওই বৈঠকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দেবেন সোনিয়া ও রাহুল৷