কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: কর্ণাটকে হিজাব বিতর্ক থামার কোনও লক্ষণই নেই। এরই মধ্যে মান্ড্য (Karnataka’s Mandya) এক মুসলিম কলেজ ছাত্রীকে ঘিরে একদল যুবকের জয় শ্রীরাম (JaiSriRam) স্লোগানকে ঘিরে নতুন বিতর্ক ছড়িয়েছে। ওই ছাত্রীটি বিচলিত না হয়ে আল্লাহ্-হু-আকবর (AllahuAkbar) ধ্বনি দেন চিৎকার করে। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনাকে ঘিরে ময়দানে নেমেছেন কর্ণাটকের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষামন্ত্রী (Karnataka primary and secondary education minister) বি সি নাগেশ।
বুধবার নাগেশ সাংবাদিকদের বলেন, গেরুয়া উত্তরীয় পরা ছাত্ররা হিজাব পরিহিত ছাত্রীটিকে ঘিরে ধরেনি। ঘুরিয়ে তিনি পালটা প্রশ্ন তোলেন, ওই ছাত্রীই কি তবে ছাত্রদের জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে প্ররোচিত করেছিল? তাঁর আরও দাবি, ছাত্রীটির আশপাশে তখন কোনও ছাত্র ছিল না। যদিও তিনি মনে করেন, শিক্ষাঙ্গনে জয় শ্রীরাম বা আল্লাহ্-হু-আকবর ধ্বনি দেওয়াকে কখনওই উৎসাহ দেওয়া ঠিক নয়। শিক্ষামন্ত্রীর এই বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্কের জল আরও গড়িয়েছে।
মঙ্গলবার মান্ডিয়ার ওই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই তোলপাড় হয় গোটা দেশ। ভাইরাল ওই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বোরখা পরা এক ছাত্রী স্কুটিতে করে কলেজে ঢুকছেন। আগে থেকে কলেজে ভিড় করে ছিল গেরুয়া উত্তরীয় পরা একদল যুবক। নির্ধারিত স্থানে স্কুটি রেখে ক্লাসের দিকে এগোতে থাকেন ছাত্রীটি। আচমকা তাঁর পিছু নেয় ওই যুবকরা। হিন্দুত্ববাদী ছাত্রদের দলটি ‘জয় শ্রীরাম’ দিতে থাকে।
আরও পড়ুন- Hijab Row: হিজাব বিতর্কে কর্ণাটকে তিন দিন স্কুল-কলেজ বন্ধ, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাইয়ের
এরপরও হাঁটা থামাননি ওই ছাত্রী। বিচলিতও হতে দেখা যায়নি তাঁকে। কিছুক্ষণ পর ঘুরে দাঁড়ান তিনি। চোয়াল শক্ত করে একাধিকবার হাত তুলে আল্লাহ্-হু-আকবর বলে চিৎকার করতে দেখা যায় তাঁকে। স্থানীয় ভাষায় চেঁচিয়ে পালটা প্রতিবাদ জানায় ওই যুবকরা। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কলেজের কর্মী-আধিকারিকরা ওই ছাত্রদের থেকে সরিয়ে কলেজের ভিতরে নিয়ে যান ছাত্রীটিকে।
ওই ছাত্রীর কথায়, ‘আমি কলেজে এসেছিলাম। স্কুটি রেখে ক্লাসের দিকে যাচ্ছিলাম। একদল ছাত্র আমাকে কলেজে ঢুকতে দিচ্ছিল না। বোরখা পরা থাকলে কলেজে ঢোকা যাবে না বলে ওরা হইহল্লা করছিল।’