কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: দু’পক্ষের বচসায় স্থানীয় থানা থেকে মাত্র পাঁচশো মিটার দূরে মহিলাকে মারধর করা হল। মহিলার মেয়ে সাহায্য চাইলে তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। নির্যাতিতাদের অভিযোগ, তাঁদের লাঠিপেটা করা হয়েছে। কিশোরীর মাকে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। গোটা ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল সামাজিক মাধ্যমে। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড় জেলার মান্ধাতা থানা এলাকার। শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় বুধবার উভয় পক্ষের পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। অসুস্থ অনিতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে সিএইচসিতে প্রাথমিক চিকিৎসার পর রাজা প্রতাপ বাহাদুর হাসপাতালে রেফার করা হয়। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে অনড়।
এই ঘটনায় পুলিসি অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতিতা স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য। তাঁকে মারধর করার প্রতিবাদে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা সহ গ্রামবাসীরা মান্ধাতা থানায় বিক্ষোভ দেখায়। কারণ, নির্যাতিতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিস।
বুধবার দোকান সরানো নিয়ে মান্ধাতা বাজারে সত্য নারায়ণ সনি ও অনিতা গুপ্তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। গ্রামবাসীর বক্তব্য, মঙ্গলবার রাতে অনিতা তাঁর পরিবারের জীবিকা নির্বাহের জন্য একটি দোকান নিয়ে এসেছিলেন। যা সত্যনারায়ণ পক্ষের লোকজনকে মেনে নিতে পারেননি। তা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়।
বুধবার দুপুরে দোকান অপসারণ নিয়ে বিরোধ হয়। অনিতা ও তাঁর মেয়ে দোকান সরাতে বাধা দেয়। সত্যনারায়ণের লোকেরা জোরপূর্বক দোকান ভেঙে ফেলে। অনিতাসহ তাঁর মেয়েকে টেনে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন-Bankura BJP: ছাতনার আইসি-কে প্রকাশ্যে বিবস্ত্র করার হুমকি বিজেপি নেতার
ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, দোকান ভাঙার পর দুই যুবক অনিতা ও তাঁর মেয়েকে লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করে। অনিতার মেয়ে সাহায্যের জন্য অনুনয়-বিনয় করতে থাকে। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। এক যুবক তাকেও লাঠি দিয়ে মারতে থাকে। মারধরের সময় উলঙ্গ হয়ে পড়ে অনিতা। চিৎকার শুনে আসা লোকজনও সাহায্য না করে ভিডিয়ো তৈরিতে ব্যস্ত। এ সময় তাঁদের মধ্যে ইট-পাথর দিয়ে পরস্পরকে আঘাত করা শুরু হয়। দীর্ঘক্ষণ এমনটা চলতে থাকে। অথচ, মাত্র কয়েক ধাপ দূরে অবস্থিত মান্ধাতা থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছতে আধা ঘণ্টা সময় নেয়।
মারধর ও পাথর ছুড়ে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ সময় স্থানীয় প্রধান হরিরাম মদনওয়ালকেও পাথর ছুড়ে মারা হয়। পুলিস অনিতার পক্ষের দুজন ও সত্যনারায়ণ পক্ষের তিনজনকে গ্রেফতার করে। পুলিস তদন্ত করে আইনত ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছে। রাণীগঞ্জের সিও অতুল অঞ্জন ত্রিপাঠী জানান, উভয়পক্ষের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সুষ্ঠু আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।