শ্রীনগর: পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে বড় ধাক্কা খেয়েছে কংগ্রেস (Congress)। গেরুয়া শিবির তাদের কাছ থেকে পঞ্জাব ছিনিয়ে নিয়েছে। একইসঙ্গে উত্তরপ্রদেশে শোচনীয় অবস্থা হয়েছে কংগ্রেসের। এরই মধ্যে এবার জম্মু-কাশ্মীরে বড় ধাক্কা খেল কংগ্রেস। জম্মু ও কাশ্মীরের এক সময়ের মহারাজা হরি সিং-এর নাতি এবং বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা করণ সিংয়ের ছেলে বিক্রমাদিত্য সিং কংগ্রেসের সদস্যপদ (Vikramaditya Singh Quits Congress) ছাড়লেন। দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে পদত্যাগপত্রও পাঠিয়ে দেন তিনি।
বিক্রমাদিত্যের কথায়, ‘জম্মু ও কাশ্মীরের বিতর্কিত বিষয় নিয়ে আমার মতামত দলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’ বাস্তবতার সঙ্গে কংগ্রেসের কোনও সংযোগ নেই বলেও অভিযোগ করেন তিনি। টুইটে বিক্রমাদিত্য লিখেছেন, আমি কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করছি। জম্মু ও কাশ্মীরের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আমার অবস্থান, যা জাতীয় স্বার্থকে প্রতিফলিত করে, তা কংগ্রেস পার্টির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কংগ্রেসের অবস্থান ও চিন্তা-ভাবনা বাস্তব থেকে অনেকটাই আলাদা।
২০১৫-র অগস্টে বিক্রমাদিত্য সিং জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি)-তে যোগদান করেন। তাঁর পিতামহ হরি সিংয়ের জন্মদিনে ছুটি নিয়ে মতান্তরের জেরে ২০১৭ সালের অক্টোবরে আইন পরিষদ এবং পিডিপির সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর পর কংগ্রেসে যোগ দেন। ২০১৯ সালে উধমপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের টিকিটে লড়েন। কিন্তু বিজেপি প্রার্থী জিতেন্দ্র সিংয়ের কাছে পরাজিত হন বিক্রমাদিত্য।
আরও পড়ুন: P Chidambaram: তৃণমূল, আপ সম্পর্কে নরম সুর চিদম্বরমের, কংগ্রেস কি কৌশল বদলাচ্ছে?
I hereby tender my resignation from the Indian National Congress.
My position on critical issues vis-à-vis Jammu & Kashmir which reflect national interests do not align with that of the Congress Party. @INCIndia remains disconnected with ground realities. @INCJammuKashmir pic.twitter.com/g5cACgNf9y
— Vikramaditya Singh (@vikramaditya_JK) March 22, 2022
পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের পরাজয়ের পর বিক্ষুব্ধ জি-২৩ গ্রুপও সক্রিয় হয়ে ওঠে। এই গোষ্ঠীর নেতারা দুটি বৈঠক করেন। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী নিজেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে এগিয়ে আসেন। জি-২৩ গ্রুপের বর্ষীয়ান সদস্য ও বিক্রমাদিত্য ঘনিষ্ঠ গুলাম নবি আজাদের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক করেন সোনিয়া। বৈঠকের পর আজাদ জানান, সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে কারও কোনও আপত্তি নেই। তাঁর কিছু পরামর্শ ছিল, যা তিনি দলীয় সভাপতির কাছে পেশ করেছেন।