নয়াদিল্লি: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও বিধিতে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সিএএ (Citizenship Amendment Act)-এর উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে একগুচ্ছ মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। সেই সব মামলার শুনানিতে এবার কেন্দ্রের উত্তর জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার সিএএ (CAA)-এর বিরোধিতা করে যে মামলাগুলি দায়ের হয়েছিল, সেগুলি একত্র করে শুনানি শুরু হয়। মামলাগুলি শোনে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব ২৫)
মোট ২৩৭টি মামলা হয়। তার মধ্যে কুড়িটিতে স্থগিতাদেশের প্রার্থনা রয়েছে। এগুলির জবাব দেওয়ার জন্য সময় দরকার। তবে এই আইন কারোর নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না। মামলাকারীদের স্বার্থ ক্ষুন্ন হবার কোনও সুযোগ নেই, প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চকে জানিয়েছেন কেন্দ্রের আইনজীবী। মঙ্গলবার শুনানির সময় মুসলিম পক্ষের আইনজীবী নিজাম পাশা বলেন, সিএএ-এর কারণে মুসলমানদের নাগরিকত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। নিজাম পাশার পাল্টা জবাব দেন সলিসিটর জেনারেল। তিনি বলেন, সিএএ-এর সঙ্গে এনআরসি-র সম্পর্ক নেই। এর আগেও মানুষকে বিভ্রান্ত করে উস্কানি দেওয়া হয়েছিল। সিএএ কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না। এনিয়ে ৮ এপ্রিলের মধ্যে প্রধান বিচারপিত বলেন উভয় পক্ষকে ৫ পৃষ্ঠার লিখিত সংক্ষিপ্ত নোট জমা দিতে হবে। আগামী ৯ এপ্রিল এ বিষয়ে শুনানি হবে।
আরও পড়ুন: বাবা রামদেবকে সশরীরে হাজিরার সুপ্রিম নির্দেশ
গত সোমবার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কেন্দ্র। তার পরেই দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়। রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে জনসাধারণ, আইনের বিরোধিতা করেন অনেকেই। এই আইন কার্যকর করার সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক, সেই দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়। নাগরিকত্ব প্রধান ব্যবস্থা চালু হয়ে গেলে, তা বন্ধ করা যাবে না। সরকার এতদিন যেখানে বিষয়টি কার্যকর করেনি, সেক্ষেত্রে জুলাই পর্যন্ত অথবা আদালত যতদিন মনে করবে, ততদিন প্রক্রিয়াটি স্থগিত রাখা যেতে পারে। এ নিয়ে তাড়াহুড়োর কিছু নেই। কেন্দ্রের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বক্তব্য বিরোধীদের।
আরও খবর দেখুন