সিমলা: আবার নাম বদল হচ্ছে রোটাং পাসের। হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরই নয়া মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন, সোনিয়া গান্ধীর নামে নতুন ফলক তৈরি করতে হবে। আগে তাঁর নামই ভিত্তি প্রস্তরে লেখা ছিল। সেটাই আবার ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই ফলক সরিয়ে ফেলেন। তিনি অটল বিহারী বাজপেয়ির নামে রোটাং পাসের নাম রাখেন অটল টানেল। তারও দশ বছর আগে তখনকার জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী এই সুরঙ্গের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন নতুন করে। তিনি এটির নাম রেখেছিলেন তাঁর শাশুড়ি প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নামে। কারণ ১৯৭০ সালে ইন্দিরা গান্ধী এই টানেল তৈরির স্বপ্ন দেখেছিলেন। কংগ্রেস দাবি করে, প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বরাবর এই পার্বত্য রাজ্য হিমাচল প্রদেশের উপত্যকার সৌন্দর্য উপভোগ করতেন।
পরবর্তীকালে ২০১০ সালে প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধীর স্বপ্ন পূরণ করেন তাঁর পুত্রবধূ সোনিয়া। ভিত্তি প্রস্তরে নাম ছিল সোনিয়ার। কিন্তু গণতন্ত্রের সমস্ত মূল্যবোধ বিসর্জন দিয়ে নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়ার নাম সেই ভিত্তি প্রস্তর থেকে সরিয়ে নেন। রোটাং পাসের নতুন নাম হয় অটল টানেল। সালটা ২০২০।
আরও পড়ুন:CMC Hunger Strike: অনশন সমস্যা মেটেনি, মঙ্গলবার রাজপথে আন্দোলনে সামিল পড়ুয়ারা
তখন কংগ্রেস বিরোধী আসনে। বহুবার তারা বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছিল। কিন্তু বিজেপি তাতে কর্ণপাত করেনি। আজ পাশার দান উল্টেছে। হিমাচল প্রদেশে বিজেপি ক্ষমতা হারিয়েছে। রাজ্যপাটে বসেছে কংগ্রেস। ক্ষমতায় এসেই কংগ্রেসের নতুন মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু রোটাং পাসের নাম বদলের নির্দেশ দিলেন। আসলে যে যায় লঙ্কায়, সেই হয় রাবণ। বারবার রোটাং পাসের নাম বদল নিয়ে বাংলার সেই প্রবাদই আরও একবার সত্যি হল।