শ্রীনগর: ভয়ঙ্কর হত্যালীলার মাঝেও কাশ্মীরের সোপিয়ানের চৌধুরীগন্ড গ্রামে থেকে গিয়েছিলেন ডলি কুমারী নামে এক পন্ডিত। কিন্তু পরিস্থিতি এতটাই খারাপের হতে থাকে শেষমেশ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রাম ছাড়লেন ডলি। গ্রাম ছেড়ে জম্মুর দিকে রওনা দেন তিনি। ওই গ্রামের আরও সাত পন্ডিত পরিবার এর আগেই চলে গিয়েছে জম্মুতে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এই আশায় গ্রামে ছিলেন তিনি।
কয়েক দিন আগেই কাশ্মীরের শোপিয়ানের চৌধুরীগুন্দ গ্রামের সাতটি কাশ্মিরী পণ্ডিত পরিবার গ্রাম ছেড়ে জম্মুতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পণ্ডিতদের উপর ভয়ঙ্কর আক্রমণের পরেও গ্রামে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ডলি কুমারী। এত দিন তিনিই ছিলেন গ্রামের শেষ কাশ্মীরি পণ্ডিত। তবে পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে ডলিও গ্রাম ছেড়ে চলে গেলেন জম্মুতে।
আশ্চর্যের বিষয় তিনি তাঁর আপেল বাগান দেখভালের দায়িত্ব দিয়ে গেলেন মুসলমান পড়শিদের উপরই। মুসলমান প্রতিবেশীরাও জানালেন, কোনও আপেল নষ্ট হতে দেবেন না তাঁরা। সব আপেল বাজারে বিক্রি করা হবে। তা থেকে যে অর্থ আসবে, সেই অর্থ ডলির হাতে তুলে দেবেন তারা।
আরও পড়ুন:Donald Trump: এলন মাস্কের টুইটারে ফিরবেন ট্রাম্প! কী বললেন তিনি?
গত ১৫ অক্টোবর এই গ্রামেই প্রকাশ্য রাস্তায় গুলি করে খুন করা হয়েছিল কাশ্মীরি পণ্ডিত পুরাণকৃষ্ণান ভট্টকে। শোপিয়ানের আরও একটি গ্রামে খুন হন আরও এক কাশ্মীরি পণ্ডিত। তার পরই এই দুই গ্রাম থেকে মোট ১১টি কাশ্মীরি পণ্ডিত পরিবার জম্মুর উদ্দেশে রওনা দেয়।