নয়াদিল্লি: ১৯৩২ সালে টাটার হাত ধরেই তার পথচলা শুরু হয়েছিল। নাম ছিল টাটা এয়ারলাইন্স। ১৯৪৬ সালে নাম বদলে হয় এয়ার ইন্ডিয়া। ১৯৫৩ সালে কেন্দ্র অধিগ্রহণ করে এয়ার ইন্ডিয়া। তবে তার পর প্রায় ২০ বছর সংস্থার চেয়ারম্যান হিসাবে কাজ করেছিলেন জে আর ডি টাটা। সেই এয়ার ইন্ডিয়া ফের হাতে পেতে পারে টাটা গোষ্ঠী। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক সূত্রে খবর, টাটা গোষ্ঠীর দেওয়া একটি দরপত্র গ্রহণ করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন প্যানেল সেই দরপত্র গ্রহণ করেছেন। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু ঘোষণা করা হয়নি। এই মুহূর্তে এয়ার ইন্ডিয়ার মোট ঋণের পরিমাণ ৪৩ হাজার কোটি টাকা। দরপত্রটি গ্রাহ্য হওয়ায় ঋণের চাপে ধুঁকতে এয়ার ইন্ডিয়ায় প্রায় ৮৪ শতাংশ শেয়ার চলে যাবে যাবে টাটা সন্সের হাতে। টাটা গোষ্ঠী ছাড়াও এয়ার ইন্ডিয়া কেনার জন্য স্পাইস জেটের প্রতিষ্ঠাতা অজয় সিংও দরপত্র জমা দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের আকাশে আচমকাই রুট বদল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের, দুবাই ঘুরে নামল দিল্লিতে
বর্তমানে দেশের বিমানবন্দরে এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে ৪,৪০০টি দেশীয় এবং ১,৮০০ আন্তর্জাতিক ল্যান্ডিং ও পার্কিং স্লট রয়েছে। বিদেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে ৯০০টি জায়গা নেওয়া রয়েছে। মুম্বইয়ের এয়ার ইন্ডিয়া বিল্ডিং এবং দিল্লির এয়ারলাইন্স হাউসও রয়েছে সংস্থার হাতে। কেন্দ্রীয় সরকার আগেই ঘোষণা করেছিল, এয়ার ইন্ডিয়ার ১০০ শতাংশ বিলগ্নিকরণ হবে। এই সংস্থার আওতায় থাকা বিমান ওঠা-নামা সংক্রান্ত সংস্থার ৫০ শতাংশ অংশীদারিত্ব বিক্রি করার কথা জানানো হয়েছিল।
নানা চেষ্টার পরেও বহু বছর যাবত লাভের মুখ দেখেনি এয়ার ইন্ডিয়া। দেনা বাড়তে বাড়তে আকাশ ছুঁয়েছিল। ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৪৩ হাজার কোটিতে। আগেও এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। তবে নানা কারণে তা সম্ভব হয়নি। এ বার অবশ্য খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে না কেন্দ্রকে, তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। সূত্রের খবর, সরকার নির্ধারিত সংরক্ষিত মূল্যের থেকে ৩ হাজার টাকা বেশি দর দিয়েছে টাটা গোষ্ঠী। টাটা গ্রুপের হাতে বর্তমানে রয়েছে দুটি উড়ান সংস্থা- এয়ার এশিয়া ও ভিস্তারা।
আরও পড়ুন: একটানা উড়তে পারে ১৭ ঘণ্টা, দাম ৪২০০ কোটি, বায়ুসেনার এই বিমানে আমেরিকা যাচ্ছেন মোদি