নয়াদিল্লি: সোমবার শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) লখিমপুরের ঘটনা উল্লেখ করে কৃষক আন্দোলনের (Farmers Protest) গ্রহণ যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে কেন্দ্র৷ তারই ভিত্তিতে শীর্ষ আদালত বিচারাধীন কৃষি আইনের বিরোধিতায় চলা কৃষক বিক্ষোভের প্রয়োজনীয়তা জানতে চাইল শীর্ষ আদালত৷ আদালত বলে, ‘তিন কৃষক আইন নিয়ে যখন শীর্ষ আদালতে মামলা চলছে, তারপরও কেন কৃষকরা বিক্ষোভ জারি রেখেছে? এরপরই কেন্দ্রের প্রতিনিধি লখিমপুরে ৯ জনের মৃত্যুর প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘লখিমপুরের খেরির মতো আর কোনও কৃষক আন্দোলনের অনুমতি দেওয়া হবে না’৷
আগামী ২১ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানিতে ‘ এখনও পর্যন্ত কৃষক আন্দোলন সঠিক কিনা তা যাচাই হবে৷ বিশেষ করে তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দাবি পূরণে জাতীয় অবরোধ কতটা প্রতিবাদের অঙ্গ তা দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে৷
আরও পড়ুন-দোষীরা গ্রেফতার না হলে মৃতদেহ সৎকার নয়, টিকায়েতের হুমকির পর মন্ত্রীর ছেলের নামে FIR
দিল্লির যন্তর মন্তরে কৃষকরা প্রতিবাদ আন্দোলনের দাবি করে আদালতে আবেদন করেছিল৷ সোমবার সেই আবেদনের বিরোধিতা করে কেন্দ্র সরকার রবিবার উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির ঘটনা তুলে ধরে৷ কেন্দ্রের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, গতকাল উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরের ঘটনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ এই ভাবে প্রতিবাদ আন্দোলন হয় না৷ দয়াকরে বলে দিন যে আইন বিচারাধীন তা নিয়ে আন্দোলন চলতে পারে না ৷ যা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার নেতৃত্ব দেয়৷’ পরক্ষণেই আদালত বলে, ‘যখন এরকম ঘটনা ঘটে,তখন কেউ দায়িত্ব নেই না৷ প্রাণহানি, সম্পদ নষ্ট৷ কেউ দায় নেই না৷’
আরও পড়ুন-লখিমপুরে চার কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিল্লির
এরপরই আদালত বলে, আপনারা যখন আইনের চ্যালেঞ্জ করেছেন,তখন আপনারা প্রতিবাদ আন্দোলন করার অনুমতি পাবেন না? আপনারা যখন আদালতে আসবেন না, তখন আপনারা বাইরে আন্দোলন করবেন?’ যদি বিষয়টি বিচারধীন, তখন প্রতিবাদ আন্দোলনের অনুমতি দেওয়া যাবে না৷
আরও পড়ুন-লখিমপুরের ঘটনায় সিবিআই চেয়ে যোগীকে চিঠি বিজেপি সাংসদ বরুণের
বিচারপতি এএম খানওয়ালকার ও সিটি রবিকুমার জানতে চান, যখন সরকার বলে দিয়েছে নতুন আইন প্রয়োগ করা হবে না, শীর্ষ আদালত যে আইনে স্থগিতাদেশ জারি করেছে তার পরেও কেন আপনারা আন্দোলন করছেন?