নয়াদিল্লি: বিলকিস বানো মামলায় গুজরাত সরকারকে বৃহস্পতিবার নোটিস দিল সুপ্রিম কোর্ট। এ১১ ধর্ষকের মুক্তি নিয়ে গুজরাত সরকারকে জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এই মামলায় ১১ জন দোষীকে যুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দু’সপ্তাহ পর আবার এই মামলার শুনানি হবে। গত ২৩ অগাস্ট মঙ্গলবার বিলকিসের ধর্ষকদের মুক্তির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য সুভাষিণী আলি, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র প্রমূখ।
২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গার সময় পালাতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন ২১ বছরের বিলকিস। সেই সময় তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তাঁর চোখের সামনে তিন বছরের শিশুকন্যা-সহ সাতজনকে খুন করা হয়৷ সেই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ১১ জন পনের বছরের জেলের সাজা কাটিয়ে স্বাধীনতা দিবসের দিন মুক্তি পান৷ গুজরাতের বিজেপি সরকারের শাস্তি মকুব প্যানেল ওই সিদ্ধান্ত নেয়৷ ওই প্যানেলের এক সদস্য বিজেপি বিধায়ক সি কে রউলজি সাজাপ্রাপ্তদের ‘ব্রাক্ষণ’, ‘সংস্কারী’ এবং ‘ভালো পরিবারের’ বলে সার্টিফিকেট দেন৷ বিজেপির সরকারের সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিলকিস বানো ও তাঁর স্বামী৷ ৪২ বছরের বিলকিস জানিয়েছেন, ২০ বছর আগের বিভীষিকার কথা যতটুকু ভুলতে পেরেছিলেন, তা আবার দগদগে ক্ষতের মতো তাজা হয়ে গিয়েছে৷ তাঁর স্বামী জানিয়েছেন, অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যাওয়ায় তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন৷
আরও পড়ুন: Hemant Soren: ঝাড়খণ্ডে হেমন্তের সংকট, খারিজ হতে চলেছে বিধানসভার সদস্যপদ
বিজেপি সরকারের সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তুলোধনা করে টুইটে লেখেন, ‘লজ্জা করে না৷’ এই ঘটনায় আদালতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন নাগরিক সমাজের একাংশ৷ যদিও বিচারপতি মৃদুলা ভাটকর সাফ জানিয়ে দেন, এটা সরকারের সিদ্ধান্ত৷ বিচারব্যবস্থাকে দায়ী করা যেন না হয়৷ সেই বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা রেখে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখে এব্যাপারে হস্তক্ষেপের দাবি জানান তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির নেত্রী৷ চিঠিতে নিজের সংশয়ের কথা জানিয়ে কবিতা লেখেন, ‘কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করে রাজ্যের বিজেপি সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কি না তা পরিষ্কার নয়৷’ দেশের বিচারব্যবস্থার প্রতি মানুষের বিশ্বাস টিকিয়ে রাখতে তিনি সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের দাবি জানান৷