বেঙ্গালুরু: বিশ্ব হস্তি দিবসে গজরাজদের সুস্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ পুজোর আয়োজন করল কর্ণাটকের শিবমোগা জেলার সাকরেবাইল এলিফ্যান্ট ক্যাম্প। বেঙ্গালুরু শহর থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরের এই ক্যাম্পে ২২টি হাতি রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব হাতি দিবস উপলক্ষ্যে গজরাজদের শ্রদ্ধা জানাল উত্তরবঙ্গ
বিশ্ব হস্তি দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকাল সকাল হাতিগুলিকে সাজিয়ে তোলেন তাদের মাহুতরা। প্রতিটি হাতিকে স্নান করানোর পর রংবেরংয়ের মালা দিয়ে সাজানো হয়। তারপর সকলকে পুরোহিতের দিকে মুখ করে দাঁড় করানো হয়। পুরোহিত হাতিদের সুস্থতা কামনায় বিশেষ পুজো করেন।
সাকরেবাইল এলিফ্যান্ট ক্যাম্পটি কর্ণাটক রাজ্য বন দফতরের নিয়ন্ত্রণাধীন। শিবমোগা জেলার এই ক্যাম্প থেকে বেঙ্গালুরু শহরের দূরত্ব প্রায় ৩০০ কিলোমিটার। মোট ২২টি হাতি রয়েছে ওই ক্যাম্পে। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক হাতি যেমন রয়েছে, ঠিক তেমনই অপ্রাপ্তবয়স্ক হাতিও রয়েছে।
আরও পড়ুন: খাবারের খোঁজে পরপর ৬ টি বাড়ি ভাঙল হাতির দল
বাস্তুতন্ত্রে হাতির প্রয়োজনীয়তা, এশিয়ান ও আফ্রিকান হাতির সংরক্ষণ ও সুরক্ষার জন্য প্রথম ২০১২ সাল থেকে ১২ অগস্ট দিনটকে বিশ্ব হস্তি দিবস হিসেবে পালন করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের ২০১৭ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে ২৭ হাজার ৩১২টি হাতি রয়েছে।
দেশে কত হাতি আছে, তা জানার জন্য হাতিসুমারি শুরু করতে চলেছে পরিবেশ মন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে একটি টুইটে বলা হয়েছে, ‘বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে জনসংখ্যা অনুমান পদ্ধতির মধ্যে সমন্বয় সাধনের প্রয়োজন হয়েছে। বন ও পরিবেশ মন্ত্রক প্রথমবারের মত হাতি ও বাঘের জনসংখ্যা অনুমানকে একত্রিত করছে। বিশ্ব হস্তি দিবসে প্রোটোকল প্রকাশ করেছে মন্ত্রক।’
আরও পড়ুন: জেরক্সের দোকানে বিক্রি হচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম, দাম ৫, ১০, ১৫ টাকা