নয়াদিল্লি: সরকারি বাংলো (ছাড়ার নোটিস দেওয়া হয়েছে সোমবার। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ওয়ানডের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) জানিয়ে দিলেন, সরকারি নিয়ম মেনেই তিনি ১২, তুঘলক লেনে সরকারি বাংলো ছেড়ে দিচ্ছেন। সোমবার অবশ্য রাহুল জানিয়েছিলেন, তখন পর্যন্ত বাংলো ছাড়ার কোনও নোটিশ পাননি। মঙ্গলবার লোকসভার হাউসিং কমিটিকে (Lok Sabha secretariat’s notice to vacate) লেখা চিঠিতে রাহুল বলেন, পরপর চারটি মেয়াদের সাংসদ পদে থাকার দরুন আমি এই বাংলোয় বেশ ভালো সময় কাটিয়েছি। এখানে আমার অনেক সুখের স্মৃতি রয়েছে। সরকারি নির্দেশ মেনেই আমি এই বাংলো ছেড়ে দেব। প্রসঙ্গত, একমাসের মধ্যে রাহুলকে বাংলো ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে হাউসিং কমিটির চিঠিতে।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সাল থেকে টানা লোকসভার সাংসদ রাহুল। দিল্লিতে ১২, তুঘলক লেনে সরকারি বাংলো রাহুলের জন্য এতদিন বরাদ্দ করা ছিল। ২০০৫ সাল থেকে ওই বাংলোর বাসিন্দা ছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১৯ সালে তাঁর প্রধানমন্ত্রীর পদবি নিয়ে করা মন্তব্যের জন্য রাহুলকে দু’বছরের কারাদণ্ড দেয় সুরাত ম্যাজিস্টেট আদালত। উচ্চ আদালতে অ্যাপিল করার জন্য তাঁকে একমাস সময়ও দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হলেও সুরাত আদালত রাহুলকে জামিনও দেয়।
বৃহস্পতিবার সুরাতের আদালত কারাদণ্ড দেওয়ার পর শুক্রবারই লোকসভার সচিবালয় রাহুলের সদস্যপদ খারিজ করে দেয় যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। রাহুলের সাংসদপদ খারিজ নিয়ে দেশ জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত অবশ্য রাহুল সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাননি। কিন্তু তাঁর আগেই যেভাবে লোকসবার হাউসিং কমিটি কংগ্রেস নেতাকে সরকারি বাংলো ছাড়ার নোটিস দিয়েছে, তাতে বিজেবি তোতা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিহিংসার রাজনীতিই দেখছে কংগ্রেস। দলের একাধিক শীর্ষ নেতা সোমবার ওই সরকারি নোটিসের সমালোচনা করে বলেন, রাহুল গান্ধী এখনও উচ্চ আদালতে জাননি। উচ্চ আদালত সুরাত আদালতের উপর স্থগিতাদেশও দিতে পারে। তখন কী হবে, তা আগু পিছু না ভেবে তড়িঘড়ি তাঁকে বাংলো ছাড়ার নোটিস দেওয়া হল. এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে বিজেপি রাহুল গান্ধীকে কতটা ভয় পায়। তার জন্যই তাঁকে পদে পদে হেনস্তা করা হচ্ছে।
এদিকে এদিনও রাহুলের সদস্য পদ খারিজের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা পথে নামেন , অব্যাহত ছিল বিক্ষোভ আন্দোলন। পশ্চিমবঙ্গেও অনেক জেলায় কংগ্রেস বিক্ষোভ দেখিয়েছে।