নয়াদিল্লি: একটি অতিরিক্ত চার্জশিটে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তথ্যপ্রমাণ দিয়ে জানিয়েছে, গান্ধী পরিবারের জামাই রবার্ট ভদ্রের সঙ্গে অনাবাসী ব্যবসায়ী সিসি থাম্পি এবং পলাতক অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভাণ্ডারীর প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল।
ওই চার্জশিটে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য, তথা সোনিয়া গান্ধী কন্যা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রের নামও রয়েছে। উল্লেখ্য, এই প্রথমবার গান্ধী পরিবারের কারও নাম উঠল ইডি-র চার্জশিটে। হরিয়ানায় পাঁচ একর জমি কেনাবেচার মাধ্যমে অর্থ তছরুপের একটি মামলায় প্রিয়াঙ্কার ব্যবসায়ী স্বামী রবার্ট ভদ্রের নাম উঠে আসলেও তাঁকে অভিযুক্তের তালিকায় রাখেনি তদন্তকারী সংস্থা।
আরও পড়ুন: গর্ভগৃহে বসবে ৫১ ইঞ্চির ৫ বছরের রামলালার মূর্তি?
৮৪ পাতার চার্জশিটে ইডি বলেছে, লন্ডনের একটি সম্পত্তি নিয়ে ভাণ্ডারীর সঙ্গে রবার্টের কীভাবে যোগাযোগ হয়। রবার্টের সঙ্গে কী করে সিসি থাম্পির পরিচয় ঘটে। সোনিয়া গান্ধীর ব্যক্তিগত সহকারী মাধবন রবার্টের সঙ্গে থাম্পির পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেছে ইডি। থাম্পির দিল্লিতে রিয়েল এস্টেটের ব্যবসাও রয়েছে। সঞ্জয় ভাণ্ডারী ও সহযোগী মামলায় থাম্পি হলেন সপ্তম অভিযুক্ত।
বিশেষ আদালতে পেশ করা ওই চার্জশিটে ইডির অভিযোগ, পলাতক অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভাণ্ডারীর হয়ে কাজ করতেন সিসি থাম্পি। তিনি প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামী রবার্ট ভদ্রের ঘনিষ্ঠ পরিচিত। থাম্বির সঙ্গে রবার্টের দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি পরিচয় রয়েছে। প্রথম তাঁদের পরিচয় করিয়ে দেন সোনিয়া গান্ধীর ব্যক্তিগত সহকারী মাধবন।
থাম্পি এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক সুমিত চাড্ডার বিরুদ্ধে পেশ করা চার্জশিটে ইডি বলেছে, এই দুজন ফেরার অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভাণ্ডারীকে সাহায্য করেছিলেন। সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি অপরাধ লুকোতে সরকারি গোপনীয়তা আইন সহ আরও কিছু আইন ভঙ্গ করেছিলেন।
ইডি বলেছে, ২০০৬ সালে ফরিদাবাদে একটি কৃষিজমি দিল্লির জমি দালাল মারফত কিনেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। চার বছর বাদে ফের সেই জমি কিনে নিয়েছিলেন ওই দালাল। ফরিদাবাদেরই আমিপুর গ্রামের একটি বাড়ি কেনার অভিযোগ রয়েছে প্রিয়াঙ্কার নামে। ২০০৬ সালে কেনা ওই বাড়ি জমির বেচার সময়েই দালাল মারফত বিক্রি করে দিয়েছিলেন রবার্ট-ঘরণী।
অন্য খবর দেখুন