চণ্ডীগড়: ফিরোজপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi Ferozepur) কনভয় আটকে বিক্ষোভের ঘটনায় ২ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করল পঞ্জাব সরকার। কমিটিতে থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মেহতাব সিং গিল, রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রধান সচিব অনুরাগ ভার্মা। ৩ দিনের মধ্যে এই কমিটিকে রিপোর্ট (PM Modi stuck on Flyover) দিতে বলা হয়েছে।
পঞ্জাবের ঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টেও চর্চা চলে। শুক্রবার বিষয়টি শুনতে পারে প্রধান বিচারপতি এন ভি রমনার বেঞ্চ। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ওই ঘটনার ব্যাপারে পঞ্জাব সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিল। সূত্রের খবর, আজ, বৃহস্পতিবারই পঞ্জাব সরকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে সেই রিপোর্ট পাঠাবে।
প্রধানমন্ত্রীর পূর্ব নির্ধারিত সভা বাতিলের ঘটনায় সরগরম জাতীয় রাজনীতি। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা গোটা ঘটনাকে কংগ্রেসের ‘নোংরা রাজনীতি’ বলে উল্লেখ করেন যদিও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা গাফিলতি নিয়ে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা খারিজ করে দেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি।
আরও পড়ুন: Narendra Modi : পঞ্জাবে কৃষক বিক্ষোভে থমকাল মোদির কনভয়, প্রধানমন্ত্রী ফিরলেন ভাতিন্দায়
বুধবার কৃষকদের একাধিক সংগঠন রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল। ঘটনাস্থল পঞ্জাবের ভাতিন্দা থেকে হুসেইনিওয়ালা যাওয়ার পথে পিয়ারেনা গ্রামের কাছে। গ্রামের কাছে সড়কের উপর একটি ফ্লাইওভারে বিক্ষোভকারীরা রাস্তা অবরোধ করেন। ভাতিন্দা থেকে হুসেইনিওয়ালা যাওয়ার পথে অবরোধে আটকে পড়ে প্রধানমন্ত্রীর কনভয়।
কনভয় এগিয়ে আসতে দেখেই সবুজ-লাল পতাকা হাতে বিক্ষোভকারীরা রাস্তার দখল নেয় এবং স্লোগান দিতে থাকেন। ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন ক্রান্তিকারির সাধারণ সম্পাদক বলদেভ জিরার দাবি, তাঁদের সংগঠন, বিশেষ করে কৃষকেরা প্রধানমন্ত্রীর ‘ঔদ্ধত্যের’ শিক্ষা দিতে চেয়েছিলেন।
The committee would comprise Justice (Retd.) Mehtab Singh Gill, Principal Secretary (Home Affairs) & Justice Anurag Verma.
The committee would submit its report within 3 days.
— PB-SHABD (@PBSHABD) January 6, 2022
প্রধানমন্ত্রীর কনভয় ফিরে যাওয়ার পর, বলদেভ জিরাকে ঘটনাস্থলে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে কিছু বলতেও শোনা গিয়েছে। এই ঘটনাকেই নিরাপত্তার বড়সড় গাফিলতি বলে দাবি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। পঞ্জাব সরকারের কাছ থেকে এই ঘটনার বিশদ রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে অমিত শাহের মন্ত্রক। এই ঘটনার পিছনে কারা রয়েছে, তাদের চিহ্নিত করতেও বলা হয়।
পঞ্জাব সরকার অবশ্য দাবি করেছে, নিরাপত্তার কোনও গাফিলতি হয়নি। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য ৭০ হাজার চেয়ারের ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু ৭০০ চেয়ার ভরেছে। লোক না-হওয়ার কারণেই নিরাপত্তা অজুহাতে প্রধানমন্ত্রীর সভা বাতিল কি না, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে তিনি কিছু বলেননি।
আরও পড়ুন: PM Modi: …বেঁচে ফিরতে পেরেছি’, মোদির কটাক্ষ চান্নিকে, নিরাপত্তার গাফিলতি ওড়াল পঞ্জাব
সামনেই পঞ্জাব বিধানসভার নির্বাচন। এ দিনের ঘটনার নিন্দা করে জেপি নাড্ডা বলেন, ‘ভোটে হেরে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই কংগ্রেস ভয় পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সভা যাতে না হয়, তার জন্য পঞ্জাব সরকার এই নোংরা রাজনীতি করেছে।’ যদিও অভিযোগ খারিজ করে দেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি।