বাংলায় নির্বাচনে নিজের কৃতিত্ব দেখিয়েছেন পিকে। এবার আসন্ন পঞ্জাব ভোটের আগে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠক করলেন ক্যাপ্টেন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। দিল্লির কাপুরথালা হাউসে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে কি ২০২২ এর আসন্ন পঞ্জাব নির্বাচনের বৈতরনী পার করতে পিকের হাত ধরতে চলেছেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং? ইতিমধ্যেই এই বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিকমহলে শুরু হয়েছে জল্পনা।
বিগত বেশ কিছুদিন ধরে প্রাক্তণ ভারতীয় ক্রিকেটার তথা কংগ্রেস নেতা নভজ্যৎ সিং সিঁধুর সঙ্গে রাজনৈতিক মনোমালিন্য চলছে মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের। শিখ ধর্মগ্রন্থ গ্রন্থ সাহিবকে অপমানা করেছেন যারা তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। এই অভিযোগেই পঞ্জাবে অমরিন্দর সিংয়ের বিরুদ্ধে সরব হন সিধুঁ। কিন্তু নির্বাচন যখন দোরগোড়ায় তখন বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা করতে রাজি হয়নি পঞ্জাব প্রশাসন। অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসের হাইকমান্ডের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সিধঁু। কিন্ত তাঁর প্রতি হাইকমান্ডের নরম মনোভাব পছন্দ হয়নি ক্যাপ্টেনের। এই দুই নেতার দ্বন্দ্বের ফলে পঞ্জাবের আসন্ন নির্বাচনে কংগ্রেসকে বেকায়দায় পড়তে পারে। আর নির্বাচনের আগে অমরিন্দর সিং যেকোনওভাবে হোক দলের অবস্থান মজবুত করতেই পিকের হাত ধরতে চাইছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিকমহল।
আরও পড়ুন সিবিআইয়ের সদর দফতরে অগ্নিকাণ্ড
যদিও প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠকের ফলাফল এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। তিনি কি আদৌ পঞ্জাব নির্বাচনে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের হাত ধরতে চলেছেন, সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত ইঙ্গিত মেলেনি পিকে তরফ থেকেও।
বাংলা ও তামিলনাড়ুর বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস এবং স্টালিনের ডিএমকের ভোট কুশলি হয়ে কাজ করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। সেই দুই রাজ্যে অভাবনীয় সাফল্যের পর পর এবার ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনেও মোদি বিরোধী ফ্রন্ট গঠন করতে তোড়জোড় শুরু করেছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের সমস্ত আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন পিকে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারও। কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়েই বিরোধী জোট গড়ে তোলার পক্ষে সওয়াল করেন এই প্রবীন রাজনীতিবিদ।
আরও পড়ুন প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রচপাল সিং
অন্যদিকে, গতবছর কৃষক আন্দলনের জেরে বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেছে এনডিএর বহু পুরোনও জোটসঙ্গী প্রকাশ সিং বাদলের শিরোমনি অকালি দল। যার জেরে পঞ্জাবে বেকায়দায় পড়তে হয় মোদি-শাহদের। এবার পঞ্চনদের দেশে মোদি-শাহের সামনে ফের ‘পিকে ফ্যাক্টর’ হয়ে ওঠে কিনা সেটাই দেখার।