নয়াদিল্লি: পেগাসাস নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে বিতর্ক। সংসদের দুই কক্ষে বিক্ষোভের পরেই শান্ত হচ্ছে না বিরোধী শিবির। এবার কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের নেতৃত্বাধীন কমিটি তৈরি হল ওই কেলেঙ্কারি নিয়ে সরকার পক্ষকে প্রশ্ন করার জন্য। আগামী সপ্তাহে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের কর্তাদের তলব করা হবে।
আরও পড়ুন- নেই অক্সিজেনের সঙ্কটে মৃত্যুর তথ্য, কেন্দ্র দুষল রাজ্যকে
ভারতের বহু মন্ত্রী, বিরোধী নেতা, সাংবাদিকের ফোন হ্যাক করেছে ইজরায়েলি সংস্থার স্পাইওয়্যার পেগাসাস৷ ফোন হ্যাকিংয়ের তালিকায় রয়েছেন বহু ব্যবসায়ী, সরকারি আধিকারিক, বিজ্ঞানী এবং সমাজকর্মী। বেশির ভাগ হ্যাক করা হয়েছে ২০১৬ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে৷ গত রবিবার এই বোমা ফাটায় দ্য গার্ডিয়ান, ওয়াশিংটন পোস্ট এবং দ্য ওয়্যারের মতো দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যম৷
ওই ঘটনার বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি করেছে সংসদীয় কমিটি। ওই কমিটির মাথায় বসানো হয়েছে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরকে। পেগাসাস ভারতের মাটিতে কতটা জাল বিস্তার করেছে তা নিয়ে সরকারের জবাব চাইবে ওই কমিটি। ইলেক্ট্রনিক্স ও আইটি এবং কমিউনিকেশন মন্ত্রককে পেগাসাস নিয়ে ওই কমিটির কাছে জবাবদিহি করতে হবে। সেই সঙ্গে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককেও প্রশ্ন করবে শশী থারুরের নেতৃত্বাধীন কমিটি। আগামী ২৮ তারিখ মন্ত্রকের কর্তাদের মুখোমুখি হবে ওই কমিটি।
পেগাসাস-র জাল সমগ্র বিশ্ব জুড়েই ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই ফ্রান্স বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে শুরু করেছে। সেই প্রসঙ্গ টেনে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, “ফ্রান্স প্রশাসন পেগাসাস নিয়ে তদন্ত করা শুরু করেছে। ভারতের ক্ষেত্রেও তা হওয়া উচিত।” একই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “এত বড় ঘটনা ঘটে গেল আর প্রধানমন্ত্রী কিছুই জানেন না! পেগাসাস কেলেঙ্কারিতে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হোক।”
অন্যদিকে, পেগাসাস কেলেঙ্কারিতে কেন্দ্রীয় সরকার বা বিজেপি জড়িত নয় বলে সোমবার দাবি করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ৷ তিনি বলেন, ডিজিটাল দুনিয়ায় যতক্ষণ না তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে ততক্ষণ অভিযোগ প্রমাণিত হয় না৷ যে সংবাদ সাধ্যম পেগাসাস কেলেঙ্কারি তথ্য সামনে এনেছে তারাও কোনও তথ্য প্রমাণ দেখাতে পারেনি৷