ভারতীয় সেনার আইএসআই যোগ নিয়ে বেশ কিছু চমকে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে এল। দিল্লি পুলিশ সুত্রের খবর, আইএসআইয়ের হয়ে কাজ করার জন্য প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা করে পেত পরমজিত। টাকা জমা পড়ত বোনের অ্যাকাউন্টে। লকডাউনের সময় আইএসআই ২০ হাজার টাকা করে পাঠাত। গ্রেফতার হওয়া জওয়ান পরমজিত ৬টি মোবাইল ব্যবহার করত। এর সবকটিই কেনা হয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের টাকায়। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন জানা গেছে যে, পরমজিত ২০১৮ সাল থেকে হবিবুরহমানের মাধ্যমে আইএসআইয়ের জন্য কাজ করত পরমজিত। যার জন্য পাক গুপ্তচর সংস্থা পরমজিতকে প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা পাঠাত। তবে লকডাউনের সময় তাকে ২০ হাজার টাকা করে পাঠাতে শুরু করেছিল আইএসআই। ওই অর্থ তার বোনের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হতো।
আরও পড়ুন : শ্রীনগরে জঙ্গি হামলা, জখম ৩
পরমজিতকে ৯ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে অপরাধ দমন শাখা। প্রয়োজনে পরমজিত ও হবিবুরকে আগ্রা ও পোখরানও নিয়ে যাওয়া হতে পারে। ইতিমধ্যে সেনা ইন্টেলিজেন্স ও সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা অন্যান্য এজেন্সিও তাদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
আরও পড়ুন : সামান্থা আক্কিনেনিকে নিয়ে মুখ খুললেন নাগার্জুন
সম্প্রতি পোখরাণে সেনা ছাউনিতে মাংস সরবরাহের বরাত পেয়েছিল হবিবুর। এর আগে সেখানে সবজি সরবরাহের দায়িত্বে ছিল অভিযুক্ত। দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখা ও সেনা ইন্টেলিজেন্সের সাহায্যে, পাক গুপ্তচর সংস্থা ও ভারতীয় সেনার যোগসাজস ও তার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ নথি পাচারের নেটওয়ার্কের পর্দাফাঁস হয়। ঘটনায় সবচেয়ে আগে রাজস্থানের পোখরাণ থেকে হবিবুরহমানকে গ্রেফতার করা হয়। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সিপি ক্রাইম প্রবীররঞ্জন জানান, অপরাধ দমন শাখা, সেনার নথি গুপ্তচরদের মাধ্যমে অন্য দেশে পাঠাচ্ছিল এমন নেটওয়ার্কের পর্দাফাঁস করেছে।