বেঙ্গালুরু: সোনিয়া গান্ধীর নৈশভোজের আমন্ত্রণে সোমবার বেঙ্গালুরুতে নৈশভোজে যোগ দিয়েছিলেন ২৬টি দলের নেতা-নেত্রীরা। সেখানে দেখা মিলেছিল বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘মিটিং বহুত আচ্ছা রাহা’। সেই সঙ্গে রোধী ঐক্য যে ক্রমশ জোরদার হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে।
দিল্লির মসনদ দখলের লড়াই দিন ক্রমশ এগিয়ে আসছে। আর তার ঠিক আগেই বিজেপি বিরোধী দলগুলির এই বৈঠক বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, মল্লিকার্জুন খাড়গে, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, এম কে স্টালিন, অরবিন্দ কেজরীবাল, নীতিশ কুমার, লালু প্রসাদ যাদব, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় প্রমুখ। বৈঠকের শুরুটা যে খুব ভাল হয়েছে, সে কথা জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা বিকে হরিপ্রসাদ। বৈঠকে যে বিরোধীদের ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে, সে কথাই শোনা গেল নেতা-নেত্রীদের মুখে।
আরও পড়ুন: Team India | আয়ারল্যান্ড সফরে বদলে যেতে পারে ভারতীয় থিঙ্কট্যাঙ্ক!
বৈঠক শেষে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে টুইট করে লেখেন, শুরুটা দারুণ হল। আমরা ভারতের জন্য ঐক্যবদ্ধ। সমমনোভাবাপন্ন বিরোধী দলগুলি সামাজিক ন্যায়বিচার, জাতীয় কল্যাণ, উন্নয়নের জন্য একসঙ্গে কাজ করব। দেশের নাগরিকদের আমরা স্বৈরতান্ত্রিক, জনবিরোধী রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চাই। সেখানে ঘৃণা, বিভাজন বলে কিছু থাকবে না। সংবিধানের চৌহদ্দির মধ্যে থেকে আমরা সাম্য, মৈত্রীর ভারত গড়ে তুলতে চাই
কর্ণাটকের এক পাঁচতারা হোটেলে বিরোধীদের জন্য ছিল বিপুল আয়োজন। উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের প্রায় সব বিখ্যাত খাবার জায়গা করে নিয়েছিল তালিকায়। কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গার মিষ্টিও পরিবেশন করা হয় বিরোধী দলের নেতাদের।