নয়াদিল্লি: দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করলেন তাবড় বিরোধী নেতানেত্রীরা। যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করছে এবং হিংসায় মদত দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানায় বিরোধী দলগুলি। শনিবার এক যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে ওই আবেদন জানানো হয়েছে। সোনিয়া গান্ধী থেকে শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শরদ পাওয়ার, এম কে স্ট্যালিন, সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজা, হেমন্ত সরেন, দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, ফারুক আবদুল্লা, তেজস্বী যাদব, মনোজ ভট্টাচার্য, দেবব্রত বিশ্বাস, পি কে কুলহালিকুট্টি-সহ সব বিরোধী নেতা ওই আবেদন সই করেছেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, খাদ্য, পোশাক, ধর্মীয় বিশ্বাস, অনুষ্ঠান সবের উপরেই এখন ধর্মীয় মেরুকরণের নামে আঘাত হানা চলছে। গোটা দেশ জুড়েই এখন এক চরম অস্থিরতা চলছে। পাশাপাশি চলছে ঘৃণা ভাষণের বন্যা। সরকারি মদতেই এসব চলছে বলে বিরোধী নেতৃত্বের অভিযোগ।
দেশের সাম্প্রতিক কিছু সাম্প্রদায়িক হিংসার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিরোধী নেতারা বলেন, এর পিছনে একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র রয়েছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, একদিকে ঘৃণা ভাষণ চলছে। আর অন্যদিকে তাকে ঘিরে ধর্মীয় মিছিলে চলছে অস্ত্রের ঝনঝনানি। এখানেই শেষ নয়। সামাজিক মাধ্যম এবং অডিয়ো ভিস্যুয়াল মঞ্চকে ব্যবহার করে ঘৃণা এবং হিংসা ছড়ানো চলছে।
বিরোধী নেতৃত্বের অভিযোগ, সব দেখেশুনেও নীরব দর্শক হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কোথাও পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এর থেকেই মনে হচ্ছে, সরকারের মদতেই এসব করার সুযোগ পাচ্ছে সুযোগসন্ধানীরা।
আরও পড়ুন: Ballygunge CPM: বালিগঞ্জে দ্বিতীয় বাম, ভোট বাড়ল ২৫ শতাংশ, কমল বাকিদের
সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে বিরোধী নেতৃত্বের আবেদন, এই অবস্থার বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিবাদ হওয়া দরকার। সব রাজনৈতিক দলকে নিজেদের সাধ্যমতো এককভাবে বা যৌথভাবে এর মোকাবিলায় নামতে হবে।
শনিবার সারা দেশে বেশ কয়েকটি বিধানসভা ও লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়েছে। সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে বিজেপি ভালো ফল করলেও উপনির্বাচনের ফল তাদের অনুকূলে যায়নি। এদিনই বিরোধী নেতানেত্রীরা এই আবেদন করলেন। তাতে নাম করে বিজেপিকে আক্রমণ না করা হলেও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, সম্প্রীতি নষ্ট হওয়ার দায় তাদেরই।