নয়াদিল্লি: সিএএ (CAA) রুলকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) গেল ইন্ডিয়া ইউনিয়ন মুসলিম লিগ (Indian Union Muslim League)। স্থগিতাদেশ চেয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছে আইইউএমএল। সোমবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সিএএ চালুর ব্যপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে সিএএ নিয়ে জল গড়ালে শীর্ষ আদালতে। এর আগে সিএএ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যত রিট মামলা হয়েছে মুসলিম লিগই হল তাদের মধ্যে অগ্রগণণ আবেদমকারী।
২০১৯ সালের কেন্দ্রীয় সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন আনে। সেই সংক্রান্ত বিল সংসদের দুই সভায় পাশ হয়ে যায় ডিসেম্বর মাসে। তখনকার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সেই বিলে সম্মতি দিলে তা আইনে পরিণত হয়। কিন্তু তার রুল বা ধারা তৈরি হয়নি বলে সেটি চালু করা যাচ্ছে না, এমনটাই বলে কেন্দ্র। তার মধ্যেই ২০২০ সালে দেশে করোনা অতিমারি দেখা দেয়। কেন্দ্রীয় সরকার বলে, করোনা মিটলেই বিধি বা ধারা তৈরি করে সিএএ চালু করা হবে। অবশেষে লোকসভা ভোটের মুখে সোমবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্র্ক সিএএ চালুর বিজ্ঞপ্তি জারি করে।
ওই আইন নিয়ে বহু মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলাতেই নতুন করে ফের যুক্ত হল আইইউএমএল। আইনটির প্রয়োগ আটকাতে মুসলিম লিগ স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। নাগরিকত্বের সঙ্গে কেন ধর্মকে জোড়া হবে? প্রশ্ন তুলেছে মুসলিম লিগ । তাদের বক্তব্য, বিগত সাড়ে চার বছরে আইনটি কার্যকর করা হয়নি। তাই বিষয়টি পিছিয়ে দিলে কোনও ক্ষতি হবে না। দ্বিতীয়ত, এই মামলায় শেষ পর্যন্ত যদি আইনটি খারিজ হয়, তাহলে সরকারি উদ্যোগে যারা নাগরিকত্ব পাবে, তাদের অস্তিত্ব নিয়ে জটিলতা তৈরি হতে পারে।
নয়া আইনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন এবং পার্সি ধর্মাবলম্বী সংখ্যালঘুরা যদি ধর্মীয় অত্যাচারের কারণে ভারতে আশ্রয় চায়, তাদের ভারত সরকার আশ্রয় দেবে এবং নাগরিকত্ব দেবে। সেখানে মুসলিমদের কথা বলা হয়নি। এই আইনের প্রতিবাদে দেশ জুড়ে তীব্র বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভ, সংঘর্ষে সারা দেশে ৮৩ জনের মৃত্যু হয়। এই আইনের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে অসম এবং বাংলায়, এমনটাই মত রাজনীতির কারবারিদের। গতকাল থেকেই অসমে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বিরোধীরা অসমে হরতাল পালন করে।
অন্য খবর দেখুন