লখনউ: বছর পার করলেই বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উত্তরপ্রদেশে। ভোটের দিন ঘোষণা হতে এখনও অনেক দেরী। তবে জল মাপতে শুরু করে দিয়েছে সব পক্ষ। এই অবস্থায় শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের বাকযুদ্ধ।
আরও পড়ুন- তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদের সই জাল করে প্রতারণা, গ্রেফতার গাড়ি চালক
সমাজবাদী পার্টির প্রধান পুরুষ তথা ওই রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদবকে ‘আব্বাজান’ বলে সম্বোধন করলেন যোগী আদিত্যনাথ। এই মুহূর্তে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পদে আসীন রয়েছেন তিনি। তার আগে গোরক্ষপুরের সাগসদ ছিলেন যোগী। নিজেকে হিন্দু হৃদয় সম্রাট বলে বরাবরই দাবি করে এসেছেন যোগী।
আরও পড়ুন- টাকার বিনিময়ে উজ্জ্বলা গ্যাস সংযোগ, বর্ধমানে আটক তিন
সেই হিন্দুত্ব নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেছিলেন অখিলেশ যাদব। মুলায়ম সিং যাদবের পুত্র অখিলেশ এই মুহূর্তে সমাজবাদী পার্টির প্রধান। যোগীর আগে তিনিই ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৭ সালে বিধানসভা ভোটে বিজেপির কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হতে হয় সপা-কংগ্রেস জোটকে। সেই অখিলশে সম্প্রতী একটি অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন, “আমি বিজেপি নেতাদের থেকে অনেক বড় হিন্দু।”
আরও পড়ুন- হোয়াটসঅ্যাপে চলে আসবে টিকার শংসাপত্র, শুরুতেই হোচট খেল কেন্দ্রের উদ্যোগ
সেই প্রসঙ্গেই একটি টেলিভিশন চ্যানেলে অখিলেশকে পালটা জবাব দিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী বলেন, “আমরা বলেছিলাম যে অযোধ্যায় মন্দির নির্মাণ করব। আগামী তিন বছরে মন্দির হয়ে যাবে। ওনার(অখিলেশের) আব্বাজান বলেছিলেন যে অযোধ্যায় একটা পাখিও দেখা যাবে না।”
আব্বাজান শব্দটি উর্দু শব্দ। ইসলামের অনুসারী ব্যক্তিরা বাবাকে আব্বাজান বলে সম্বোধন করে থাকেন। অযোধ্যায় জমি নিয়ে হিন্দু-মুসলিম বিবাদ ছিল। মসজিদ ভাঙা হয়েছিল মন্দির গড়ার দাবিতে। সেই জমিতে মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। যোগীর মুখে ‘আব্বাজান’ শব্দ শুনে চটে গিয়েছেন অখিলেশ। প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, “ভাষা ব্যবহারের সময়ে সংযত হওয়া উচিত মুখ্যমন্ত্রীর। সবকিছু নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়। আমিও মুখ্যমন্ত্রীর বাবা তুলে কথা বলতে পারি।”
আরও পড়ুন- কাশ্মীরে হিংসার পথে হাঁটলেই মৃত্যু, জঙ্গিদের কড়া বার্তা উপরাজ্যপালের
যোগীর হয়ে ব্যাট ধরেছেন তাঁর মন্ত্রী সিদ্ধার্থনাথ সিং। তিনি বলেছেন, “আব্বাজান শব্দটিতে আপত্তি কিসের। মুলায়ম সিং যাদবকে অনেকে ‘টিপু’ বলেও ডাকতেন। অখিলেশের ভাবনাচিন্তা এবং অভিব্যক্তির বদল দরকার।” উত্তরপ্রদেশে বিজেপির জনপ্রিয়তা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই কারণেই সমাজবাদী সুপ্রিমো ভয় পেয়েছে বলে দাবি করেছেন সিদ্ধার্থনাথ সিং।