নয়াদিল্লি: ছেলে জায়ান্ট কিলার। আম আদমি পার্টির টিকিটে প্রথম বারের জন্য ভোটে লড়েছিলেন। পঞ্জাবের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নিকে হারিয়ে বিধায়ক হয়েছেন। আর মা? তিনি করছেন সাফাইকর্মীর কাজ। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। রাতারাতি সেলিব্রিটি বনে যাওয়া আপ বিধায়ক লাভ সিং উগোকের মা সরকারি স্কুলে সাফাইকর্মী কাজ করে চলেছেন। লাভের মা বলদেব কৌরের কথায়, ‘অর্থ উপার্জনের জন্য এতদিন কঠোর পরিশ্রম করেছি। ছেলে যাই করুক না কেন, আমি আমার মত কাজ করে যাব।’
পঞ্জাবের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী চন্নিকে ভাদৌর আসন থেকে ৩৭ হাজার ৫৫০ ভোটে পরাজিত করেছেন লাভ। তিনি আগে একটি মোবাইল সারাইয়ের দোকানে কাজ করতেন। বিধায়ক হওয়ার পর স্বভাবতই দায়িত্ব বেড়েছে। সেই কাজ হয়তো আর করতে পারবেন না। তবে তাঁর মা কিন্তু পুরনো পেশা ছাড়তে নারাজ। বলে রাখা ভালো, আম আদমি পার্টির দলীয় প্রতীক ঝাড়ু। ছেলের জয়ে আনন্দিত বলদেব কৌর বললেন, ‘ঝাড়ু’ আমার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ছেলে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও নিশ্চিত ছিলাম, ও জিতবে।’
স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল অমৃত পাল কৌর বলেছেন, ‘লাভ সিংও এই স্কুলেই পড়াশোনা করেছেন এবং অনেক খ্যাতি এনে দিয়েছেন। ওর মা দীর্ঘদিন ধরে এই স্কুলে সাফাইকর্মীর কাজ করছেন। তিনিও এই স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। কৌর আমাদের বলেছেন, ছেলে বিধায়ক নির্বাচিত হলেও, তিনি স্কুলে কাজ চালিয়ে যেতে চান।’ লাভের বাবা দর্শন সিং আগে শ্রমিকের কাজ করতেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ছেলে বিধায়ক হলেও পরিবার আগের মতোই চলবে। তিনি চান, ছেলে পরিবারের বদলে মানুষের কল্যাণে মনোযোগী হোক।
আরও পড়ুন: Tribal Women Harassed: আদিবাসী মহিলাদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে একদল যুবক, মধ্যপ্রদেশের ভাইরাল ভিডিয়ো
দর্শন সিং বলেন, ‘গ্রামের মানুষ ওকে নির্বাচিত করেছে। আমরা চাই, ও মানুষের কল্যাণে কাজ করুক। আমরা আগের মতোই জীবনযাপন করব।’ উগোক ২০১৩ সালে আপে যোগ দিয়েছিলেন এবং দ্রুতই দলের প্রথম সারিতে উঠে এসেছিলেন। ২০১৭ সালে ভাদৌর আসন থেকে লড়তে চাইলেও সেবার টিকিট মেলেনি। এক গ্রামবাসীর কথায়, ‘লাভ সিং দিনরাত দলের জন্য কাজ করতেন। আমরা কখনই ভাবিনি যে তিনি আম আদমি পার্টি থেকে টিকিট পাবেন এবং বিধায়ক হবেন। আমরা ওর জয়ে খুবই খুশি।’