নয়াদিল্লি: ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রীর দফতরে প্রথম বৈঠক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নরেন্দ্র মোদির। শুধু রাজ্য রাজনীতি নিয়ে কাজের কথাই নয় সেখানে উঠে এল ব্যক্তিগত স্তরের আলাপচারিতাও। তৃণমূল সুপ্রিমো জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে সৌজন্যমূলক পরিবেশে। সাংবাদিকদের কাছে সব কথা ভাঙেননি মমতা। তবে সূত্রের খবর, মোদিজি নাকি নেত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন, এখনও আগের মতোই হাঁটেন কি না? জবাবে তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছেন, আগের মতো ২০ কিলোমিটার আর হাঁটতে না পারলেও এখনও দিনে ১৮ কিলোমিটার হাঁটেন।
আরও পড়ুন: বিরোধী জোটের বৈঠকের আগে দলীয় সাংসদদের নিয়ে আলোচনায় মমতা
মমতার হাঁটাহাঁটির অভ্যাস দীর্ঘদিনের। বাড়িতে রয়েছে ট্রেড মিল। সুস্থ থাকতে সেখানে নিয়মিত হাঁটেন তৃণমূল নেত্রী। বাংলা তাঁকে দেখেছে হাওয়াই চটিতে পুরো রাজ্য চষে বেড়াতে। ছুঁয়েছেন প্রান্তিক মানুষের মন। তাঁর এই হাঁটার কথা জানেন সব বিরোধী প্রতিপক্ষই। এদিনের সাক্ষাৎকারে সৌজন্যমূলকভাবে হয়ত সে কথাই উঠে এসেছে যুযুধান দুই প্রতিপক্ষের মধ্যে।
আরও পড়ুন: PK বলেই IPAC এর সদস্যদের ভয় পাচ্ছে ত্রিপুরার বিজেপি সরকার: তৃণমূল
দীর্ঘদিন পরে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন মমতা। এদিন বিকেলে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মধ্যে। বৈঠকে আলোচনা হয়েছে করোনা ভাইরাস এবং টিকাকরণ নিয়ে। বাংলায় আরও বেশি সংখ্যায় ভ্যাকসিন পাঠানোর আবেদন জানিয়েছেন মমতা। মোদি-মমতা বৈঠকে উঠে এসেছে রাজ্যের নাম বদলের প্রসঙ্গও। যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলছে। পশ্চিমবঙ্গ নাম বদল করে বাংলা করার দাবি জানিয়েছিল তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। যা নিয়ে আপত্তি জানায় কেন্দ্র। বিষয়টির দ্রুত নিষ্পত্তি করার দাবি জানিয়েছেন মমতা। আলোচনা হয়েছে পেগাসাস নিয়েও।