লখনউ: একজন মুসলিম (Muslim) হয়ে দোকানের নাম রেখেছিলেন হিন্দু (Hindu) দেবতার নামে৷ অভিযোগ, এই ‘অপরাধে’ কৃষ্ণ ভক্তদের (Krishna Devotee) হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে ওই ছোট ব্যবসায়ীকে৷ এই ধরনের ঘটনায় পুলিশের (Police) বিরুদ্ধে অভিযোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে ঢিলেমির অভিযোগ ওঠে৷ এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে৷ মুসলিম যুবককে হুমকির ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ এফআইআর (FIR) দায়ের করেছে৷ শুরু হয়েছে তদন্ত৷
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের মথুরায়৷ হিন্দুদের অন্যতম পবিত্র ধর্মীয়স্থানে এক মুসলিম ব্যবসায়ী ধোসার স্টল খুলে ব্যবসা শুরু করেছিলেন৷ ধর্মীয় স্থান হওয়ায় দোকানের নাম রেখেছিলেন ‘শ্রীনাথ ধোসা সেন্টার’৷ এই নাম পছন্দ হয়নি একদল গোঁড়া হিন্দুদের৷ অভিযোগ, নিজেদের কৃষ্ণভক্ত বলে দাবি করা ওই হিন্দুরা মুসলিম যুবককে গিয়ে শাসিয়ে আসে৷ তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, কেন মুসলিম হয়েও সে দোকানের নাম হিন্দু দেবতার নামে রেখেছে? এর পরই দোকানে টাঙানো বোর্ড টেনে নামিয়ে ছিড়ে ফেলার চেষ্টা করে তারা৷
আরও পড়ুন:কৃষকদের মাথা ফাটিয়ে দিতে বলা অফিসার ‘সরকারি তালিবান’: রাকেশ টিকায়েত
সেই ফুটেজও ভাইরাল হয়ে পড়ে সোশাল মিডিয়ায়৷ তাতে দেখা গিয়েছে, একদল কৃষ্ণভক্ত মথুরায় শুদ্ধিকরণের ডাক দিয়েছে৷ ভিডিওতে তাদের বলতে শোনা গিয়েছে, দোকানের নাম দেখে ভুল বুঝে হিন্দুরা এখানে ধোসা খেতে চলে আসবে৷ এতে ভক্তদের শুদ্ধতা নষ্ট হবে৷ তাছাড়া মুসলিম হয়েও কোন আস্পর্ধায় সে দোকানের নাম হিন্দু দেবতার নামে রাখতে গেল? মুসলিম নাম রাখতে অসুবিধা কী ছিল?
আরও পড়ুন: সতর্কতা জারি উত্তরাখণ্ডে, একাধিক জায়গায় বন্ধ যান চলাচল
জানা গিয়েছে, গত ১৮ অগস্ট কোতয়ালি পুলিশ থানা এলাকার বিকাশ বাজারের ঘটনা৷ ওখানে ধোসা বিক্রি করেন ইরফান নামে এক মুসলিম যুবক৷ গত শনিবার অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ৷ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২৭ এবং ৫০৬ ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে৷ মথুরার পুলিশ সুপার মার্তান্দ প্রকাশ সিং জানিয়েছেন, আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷