বিহার : বহুবার বারণ করা হয়েছে। তবু কে শোনে কার কথা। শুধু মদেই আসক্ত নয় বাড়ির কর্তা। গাজা চরস সবেতেই সে অভ্যস্ত। রোগ, প্যাংলা চেহারা। রোজগারপাতিও তেমন নেই। তবু নেশা ছাড়ে না তাকে। ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে স্ত্রী ও মায়ের। কপালে মারধরও জুটত মাঝেমধ্যেই। তাতেও কুছ পরোয়া নেহি। মদ চাইই চাই।
কী করা যায় বাড়ির এই নেশাখোরকে নিয়ে ? শাশুড়ি আর বউমা মিলে দিনরাত ভেবে কুল পাচ্ছেন না। অবশেষে উপায় বার করলেন দু’জনে। মারধর করে গলায় এবং পায়ে শিকল ঝুলিয়ে বাড়ির বাইরে বসিয়ে রাখা হল খোদ গৃহকর্তাকে। ভাবখানা এমন, খা, কত মদ খাবি। সে বেচারা কেঁদেকেটে একশা। গলা বাঁধা, পা বাঁধা, ওঠারও উপায় নেই। আর গলায় মদ ঢালা ? সম্ভব নয়।
স্ত্রী ও মায়ের অভিযোগ, এক বছর ধরে বাড়ির লোকটা ওই ছাইপাশ গিলছে। বারণ করলেও শুনছে না। বিহারের রোহতাসের বাসিন্দা ওই যুবক অবশ্য স্ত্রী-মায়ের অভিযোগ মানতে নারাজ। তার দাবি, এক বছর নয়, মাত্র চার মাস ধরে তাকে মদের নেশায় পেয়েছে। ব্রাউন সুগার নিতেও অভ্যস্ত সে। এখন শিকলের বন্ধন থেকে মুক্তি চায় সে। একেবারে বাড়ির বাইরে চলে যেতে যায়। শিকলে বাঁধা সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন : Black Magic: তন্ত্রসাধনার জন্যই কি মদের আসরে তরুণের জিভ কেটে নিল দুই মহিলা