উত্তরপ্রদেশ : প্রবল বর্ষণে ভাসতে শুরু করেছে উত্তর ও মধ্যপ্রদেশের একাধিক জেলা। অতিবৃষ্টিতে জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে উত্তর ভারতের নদীগুলির। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে গঙ্গা ও যমুনার জলস্তর। এর জেরে উত্তরপ্রদেশের একাধিক গ্রাম প্লাবিত হতে শুরু করেছে। রাজস্থানের ধোওয়ালপুর ব্যারাজ থেকে ১৮ লাখ কিউসেক জল ইতিমধ্যেই ছাড়া হয়েছে। গঙ্গা, যমুনা সহ অন্যান্য নদীগুলির জল বিপদসীমা ১৮৪.৭৩ মিটারের উপর দিয়েই বইছে। উত্তরপ্রদেশের বিস্তীর্ণ ভূ-ভাগ বন্যার আশঙ্কায় সন্ত্রস্ত হয়ে আছে। উত্তরপ্রদেশের তেহসিল সদর, সোরাওঁ, ফুলপুর, হান্ডিয়া, বরা, কারচনা, মেজার মতো এলাকায় বন্যার জল প্রবেশ করতে শুরু করেছে। বিহারের ভাগলপুর, পাটনা, খাগরিয়া জেলায় বাড়ছে জলস্তর। ঝাড়খণ্ডের শিবাজীগঞ্জ জেলায়ও ফুলে উঠেছে গঙ্গারজল।
আরও পড়ুন: প্রবল বর্ষণে মালদায় ভাঙন, গঙ্গাগর্ভে বিলীন ৪০০ বাড়ি
গঙ্গার জলস্তর বাড়তে থাকায় প্রভাব পড়তে শুরু করেছে এই রাজ্যের মালদা, মুর্শিদাবাদেও। উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার জানিয়েছে, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগে থেকে তৈরি রয়েছে প্রশাসন। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। ৯৮ টি পুলিশ পোস্টে ১১০টি আশ্রয়স্থল করা হয়েছে বন্যা দুর্গতদের জন্য। মধ্যপ্রদেশের একাধিক জেলায় অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। প্রবল বর্ষণের সতর্কতা রয়েছে মধ্যপ্রদেশেও। এদিকে, সেরাজ্যের ১৭ জেলায় বিশেষভাবে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের মালওয়া, মন্দসৌর, গুনা, অশোকনগরে প্রবল বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। অবিরাম বর্ষণে বিপর্যস্ত দিল্লি। সেখানেও বাড়ছে যমুনা নদীর জলস্তর। জলস্তর বাড়তে থাকায় সেচ দফতরের সঙ্গে সঙ্গে পিডাব্লুউডি দফতর সংঘবদ্ধভাবে কাজ করতে শুরু করেছে। এদিকে ডিভিসির বাঁধ থেকে জল ছাড়ায় এ রাজ্যেও প্লাবিত হচ্ছে একাধিক জেলা। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকা ইতিমধ্যেই জলমগ্ন।