কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: স্যার কিংবা ম্যাডাম নয়, এক স্কুলে সবাই শিক্ষক। শিক্ষার আলো যাঁরা দেবেন তাঁদের লিঙ্গ পরিচয়ের দরকার নেই। লিঙ্গবৈষম্যের উপরে গিয়ে কেরলের অত্যন্ত গ্রামের এক স্কুল চিরাচরিত এই প্রথার প্রতিবাদ জানাল। এই স্কুলে আলাদা করে স্যার কিংবা ম্যাডাম সম্বোধনের দরকার নেই। সেখানে সবাই শিক্ষক।
প্রচলিত ধ্যান-ধারণার বাইরে গিয়ে কেরলের পালাক্কড় জেলার একটি সরকারি স্কুল প্রথম এই পদক্ষেপ নিয়েছে। পালাক্কড়ের প্রত্যন্ত গ্রামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সিনিয়র বেসিক স্কুল। পড়ুয়া মোট ৩০০ জন। ৮ জন শিক্ষক ও ৯ জন শিক্ষিকা। এতদিন শিক্ষকদের স্যার, ম্যাডাম বলেই সম্বোধন করত পড়ুয়ারা। তবে এই প্রথমবার লিঙ্গবৈষম্য দূর করতে নতুন প্রয়াস নিল ওই স্কুল। এবার থেকে ওই স্কুলে সবাই শিক্ষক।
কয়েকদিন আগেই লিঙ্গ সমতার উপর জোর দেয় কেরলের আরও এক স্কুল। সেখানে ছাত্রছাত্রীদের জন্য অভিন্ন পোশাক চালু করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ভালো সাড়া পেতেই একই পথে হেঁটেছে কেরলের প্রায় ডজনখানেক প্রতিষ্ঠান। এই নতুন চিন্তাধারার পর লিঙ্গবৈষম্য দূর করার আরও এক পদক্ষেপ নিল কেরলের সিনিয়র বেসিক স্কুল।
আরও পড়ুন: Election Commission: উত্তরপ্রদেশে সাত দফায় ভোট, প্রথম দফায় ভোট ১০ ফেব্রুয়ারি
স্কুলবোর্ডের সদস্য সঞ্জীব কুমার ভেনুগোপালন জানিয়েছেন, পালাক্কড়ের সমাজকর্মী বোবান মাত্তুমান্থার থেকে তিনি এই অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। বোবান মাত্তুমান্থা সমাজ সংস্কারের নানা দিক তুলে ধরেন যুবসমাজের সামনে। সেখানে অনুপ্রাণিত হয়েই সংস্কারের বেড়াজাল ভাঙতে প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছে ওই স্কুল।
বেসিক স্কুল থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কেরলের মাথুর পঞ্চায়েতও কিছুদিন আগেই ইতিহাস গড়েছে। পঞ্চায়েত অফিসে কাউকেই স্যার বা ম্যাডাম বলে সম্বোধন করা যাবে না, সেই ঘোষণাই করা হয়েছে। সেখানে স্যার বা ম্যাডাম জাতীয় সম্বোধন করে কাউকে উচ্চ আসনে বসানোর প্রয়োজন নেই বলেই মনে করেছেন এই পঞ্চায়েতের সদস্যরা।
ভেনুগোপালন আরও জানান, পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্তও স্কুলকে প্রভাবিত করেছে। ‘আমরা ভেবেছিলাম কেন আমরা শিক্ষকদের সম্বোধন করার ক্ষেত্রে লিঙ্গ নিরপেক্ষতা আনব। আমাদের স্কুলেও আমরা একই পরিবর্তন আনতে পারি। অভিভাবকরাও এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।’