তরুঅনন্তপুরম: ছেলের পছন্দ করা পাত্রীকে পছন্দ ছিল না পরিবারের। যা নিয়ে তৈরি হয়েছিল জটিলতা। ১০ বছর প্রেমিকাকে একটি ঘরের মধ্যে লুকিয়ে রেখে দিয়েছিলেন। পরে সেই ঘটনা ফাঁস হওয়ার পরেও অনেক জটিলতা তৈরি হয়। অবশেষে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন ওই যুগল।
চলতি সপ্তাহের বুধবার বিয়ে করেন রহমান এবং সাজিথা। দক্ষিণ ভারতের রাজ্য কেরলের বাসিন্দা এই যুগলের প্রেম কাহিনী নজর কেড়েছিল গোটা বিশ্বের। ওই রাজ্যের পালাক্কাড় জেলার নেনমারা এলাকার একটি সাব-রেজিস্টার অফিসে গত বুধবার তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়।
খুব স্বাভাবিকভাবেই সুদীর্ঘ লড়াইয়ের পরে বিয়ে হওয়ায় বেজায় খুশি ওই যুগল। যা ফুটে উঠেছিল তাদের অভিব্যক্তিতে। বিয়ের নথিতে স্বাক্ষর করার সময়ে বেশ হাসিখুশি দেখা গিয়েছে সাজিথাকে। খুব সাধারণ সুতির সালোয়ার পরিহীত কনের মুখ ছিল বেশ উজ্জ্বল। অন্যদিকে পাত্র রহমানের পরণে ছিল ঐতিহ্যবাহী ধুতি।
আরও পড়ুন- বিজেপি বিধায়ক চন্দনার ‘প্রেমিক’ কৃষ্ণ কুণ্ডু তৃণমূলে যোগ দিতে চান
বিয়ের কাজ মেটার পরে রহমান বলেছেন, “এখন থেকে সুখে এবং শান্তিতে থাকতে পারব আমরা।” বিয়ের সময়ে সাজিথার পরিজনেরা উপস্থিত ছিলেন। তবে রহমানের পরিবারের কাউকে দেখা যায়নি। উপস্থিত ছিলেন নেনমারা এলাকার বিধায়ক কে বাবু। তিনি বলেছেন, “আমরা এই যুগলের পাশ থাকব। ওদের নতুন বাড়ি করে দেওয়ার ক্ষেত্রেও সাহায্য করা হবে।”
আরও পড়ুন- কাউন্সিলের বৈঠকে একযোগে বিরোধিতা, জ্বালানি তেলে বসছে না জিএসটি
আইলুর গ্রামের বাসিন্দা এই যুগল বাড়ির অমতে পালিয়েছিলেন। পরে একটি ভাড়া বাড়িতে প্রেমিকা সাজিথাকে লুকিয়ে রাখেন রহমান। তখন তাদের বয়স ৩০-এর আশেপাশে। ১০ বছর ধরে একটি ঘরে লুকিয়ে ছিলেন সাজিথা। যেখানে কোনও শৌচালয় ছিল না, রাতের অন্ধকারে বাইরে গিয়ে সব কাজ সারতে হতো। দিনের বেলায় বন্ধ থাকতো ওই ঘর।
আরও পড়ুন- প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যানের জরিমানার উপরে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ
মাস খানেক আগে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। জানা যায় সাজিথার অবস্থান। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। কেরল রাজ্য মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকে মামলা করা হয় রহমানের বিরুদ্ধে। একজন মহিলাকে লুকিয়ে রাখা আইন বিরুদ্ধ তাই কাঠগড়ায় তোলা হয় প্রেমিক রহমানকে। যদিও প্রেমিকা সাজিথার সৌজন্যে সেই জটিলতা থেকে মুক্তি পেয়েছেন রহমান।