বেঙ্গালুরু: রাম নবমীর আগে কর্নাটকে আক্রান্ত মুসলিম ব্যবসায়ী। শনিবার বিজেপি শাসিত এই রাজ্যের ধারওয়াদ লাগোয়া নুগিকেরি হনুমান মন্দিরের বাইরে ওই মুসলিম ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা চালায় হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাম সেনার সদস্যরা। কয়েক ডজন তরমুজ মাটিতে ফেলে নষ্ট করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিস এলাকায় উপস্থিত থাকলেও কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।
সপ্তাহ দুয়েক আগে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনটি মন্দির চত্বর থেকে মুসলিম ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করার জন্য মন্দির কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে একটি ফতোয়া জারি করে। কিন্তু মন্দির কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে নীরব থাকায় শনিবার ওই সংগঠনের কয়েকজন সদস্য মন্দির লাগোয়া প্রাঙ্গণে এসে মুসলিম ব্যবসায়ীদের স্টল ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। ওই ব্যবসায়ীর কথায়, ‘১৫ বছর ধরে স্টল চালাচ্ছি। তবে কেউ কখনও স্টল খালি করার নির্দেশ দেয়নি। ‘
মুসলিম ব্যবসায়ীদের উপর হামলার ঘটনা কর্নাটকে নতুন নয়। মার্চের শেষে হালাল মাংস বিক্রির অভিযোগে এক দোকানদারের উপর চড়াও হয় বজরং দলের কয়েকজন কর্মী। বজরং দলের সদস্যরা ওই দোকানদারকে হালাল মাংস বিক্রি বন্ধ রেখে সাধারণ মাংস বিক্রি করতে বলেন। দোকানদার আশ্বাসও দেন, কিছুটা সময় লাগবে। তবে তিনি সাধারণ মাংস জোগাড় করে দেবেন বলেও প্রতিশ্রুতিও দেন।
আরও পড়ুন: Bans meat sale on Rama Navami: দিল্লির পর এবার বেঙ্গালুরু, রামনবমীতে বন্ধ হল মাংস বিক্রি
ಕಾಶ್ಮೀರದಲ್ಲಿ ರಕ್ತದೋಕುಳಿ ಹರಿಸುವ ಭಯಾತ್ಪಾದಕರಿಗೂ, ಶಾಂತಿ-ಸೌಹಾರ್ದತೆಗೆ ಕಿಚ್ಚಿಡುತ್ತಿರುವ ಈ ಕಿರಾತಕರಿಗೂ ವ್ಯತ್ಯಾಸವೇ ಇಲ್ಲ.
ತಿನ್ನುವ ಅನ್ನಕ್ಕೆ ಮಣ್ಣುಹಾಕಿ ಬದುಕಿಗೆ ಬೆಂಕಿ ಇಡುವ ಇಂಥ ಪ್ರವೃತ್ತಿ ಅನಾಗರಿಕ-ಅಸಹ್ಯ. ಕರ್ನಾಟಕವನ್ನು ಈ ದುಷ್ಟರು, ಶಿಲಾಯುಗದತ್ತ ಹಿಮ್ಮೆಟ್ಟಿಸುತ್ತಿದ್ದಾರೆ ಎನ್ನುವುದರಲ್ಲಿ ಅನುಮಾನವೇ ಇಲ್ಲ. 2/6 pic.twitter.com/PiAmDUdSju
— ಹೆಚ್.ಡಿ.ಕುಮಾರಸ್ವಾಮಿ | H.D.Kumaraswamy (@hd_kumaraswamy) April 9, 2022
কিন্তু তা মানতে চাননি বজরং দলের কর্মীরা। এর পরই দোকানদারের উপর চড়াও হন তারা। এই ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। হালাল মাংস বিক্রির করায় ভদ্রাবতী এলাকায় একটি হোটেলেও হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে ধৃতদের বিরুদ্ধে। রামনবমীর আগে বেঙ্গালুরু শহর জুড়ে মাংস বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দিন কয়েক আগে একই রকম নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে রাজধানী দিল্লির একাংশেও।