কর্নাটক: স্বাধীনতার দিবসের দিন কর্নাটকে বিশাল মিছিল করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। ওইদিন হাজার হাজার মানুষ জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে স্বাধীনতা যাত্রায় শামিল হয়েছিলেন কংগ্রেসের ডাকে। শহরবাসী ভেবেছিলেন, এটা বোধহয় শাসক বিজেপির হর ঘর তিরঙ্গা প্রচারের অঙ্গ এই মিছিল। আগামী বছর বিধানসভা ভোটের আগে এটা সম্ভবত শাসকদলের শক্তি প্রদর্শন। কিন্তু অচিরেই সেই ভুল ভেঙে যায় আমজনতার।
সেটা আসলে ছিল কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেসের শক্তি প্রদর্শন। কর্নাটক বিজেপি যদি ১৫ অগাস্ট ৫০ হাজার লোকের সমাবেশ ঘটাতে পারে, তা বলে কংগ্রেস অন্তত আড়াই লাখ লোকের মিছিল করে দেখিয়ে দিয়েছে, তারা আগামী বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। এমনটাই দাবি রাজ্য কংগ্রেস নেতাদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দিলিল্র এক কংগ্রেস নেতা বলেন, কর্নাটক কংগ্রেসের থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। এই মিছিল দেখিয়ে দিয়েছে, কেমন করে মানুষের কাছে পৌছনো যায়, কীভাবে সঠিক নেতৃত্ব দেওয়া যায় এবং কী করে কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করা যায়। ওই নেতা আরও বলেন, স্মরণকালের মধ্যে দেশের আর কোনও রাজ্যে কংগ্রেস এই ধরনের জমায়েত করতে পেরেছে বলে আমার জানা নেই। দিল্লির অনেক নেতাই এর সামগ্রিক কৃতিত্ব দিচ্ছেন কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমারকে।
আরও পড়ুন: Maharashtra MLC poll: বিজেপি টাকা ছড়িয়ে কংগ্রেসের ভোট কিনেছে মহারাষ্ট্রে, দলীয় তদন্ত রিপোর্ট
কর্নাটকের এক কংগ্রেস নেতা জানান, এই স্বাধীনতা যাত্রার পরিকল্পনার মূল মাথা শিবকুমার। তিনি ১৫ অগাস্টের আগে ১৫ দিন ধরে রাজ্য চষে বেরিয়েছেন এই কর্মসূচি সফল করার জন্য। প্রদেশ কংগ্রেস এক লাখ টিকিট কেটে রেখেছিল. যাতে মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের অসুবিধা না হয়। মিছিলে অংশ নেওয়া সব মনুষের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল জাতীয় পতাকা। সেই পতাকা যাতে কেউ মাটিতে পড়ে না থাকে, তা দেখার জন্য মোতায়েন ছিল বারোশো সেবাদল কর্মী।
প্রশ্ন উঠেছে, কর্নাটক কংগ্রেস এত মনোবল পায় কোথা থেকে। যে রাজ্যে গত ৩৭ বছর ধরে ক্ষমতার বদল ঘটে, সেই রাজ্যে ক্ষমতার বাইরে থেকে কংগ্রেস এত বড় সংগঠিত মিছিল করে কেমন করে। তার জবাব দিয়েছেন বেঙ্গালুরুর রাজনৈতিক ভাষ্যকার সন্দীপ শাস্ত্রী। তিনি বলেন, কর্নাটকের বিজেপি অন্যরকম। তাই কর্নাটকের কংগ্রেসও অন্যরকম। আসলে কর্নাটক কংগ্রেস জাতীয় কংগ্রেসের থেকে আলাদা।