নয়াদিল্লি: সাংবাদিকদের (Journalist) কাছে কখনও সংবাদের সূত্র (News Source) জানতে চাইতে পারবে না পুলিশ এবং প্রশাসন। ফের জানিয়ে দিল দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এ ব্যাপারে রীতিমতো পুলিশ-প্রশাসনের কর্তাদের সতর্ক করে দিয়েছেন। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, সংবিধানের ১৯ এবং ২২ ধারা মোতাবেক পুলিশ, এমনকী আদালতও কোনও সাংবাদিকদের কাছে সংবাদের সূত্র জানতে চাইতে পারে না। তা সাংবাদিক স্বাধীনতার মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপের শামিল। যদি দেখা যায়, কোনও সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণ এবং তদন্ত ছাড়াই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সে ক্ষেত্রে মানহানির মামলা হতে পারে।
শীর্ষ আদালত বলেছে, ইদানিং দেখা যাচ্ছে, পুলিশ প্রায়ই সাংবাদিকের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে চলেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পুলিশ নিজেদের বড় বলে মনে করে। এ জিনিস চলতে দেওয়া যায় না।
আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধীর মন্তব্য রুচিহীন, বলল দিল্লি হাইকোর্ট
বিজেপি জমানায় এমনিতেই সাংবাদিকের স্বাধীনতা বলে কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। সরকারের বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা কেউ কিছু বললে বা লিখলে কিংবা কোনও কিছু সম্প্রচার করলে তাঁদের দেশদ্রোহী বলে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলে। পুলিশ আগ বাড়িয়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। কখনও কখনও রাষ্ট্রশক্তি সাংবাদিকদেরও শহুরে নকশাল বলে দাগিয়ে দেয়। এখনও অনেক সাংবাদিক ইউএপিএ আইনে কারান্তরালে রয়েছেন। সাংবাদিকের স্বাধীনতার সূচকের নিরিখে ভারতের স্থান অনেক নীচে। শীর্ষ আদালতের এই চেতাবনি কি সরকার বা পুলিশকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারবে, এই প্রশ্ন উঠেছে সংবাদ জগতের পক্ষ থেকে।
আরও খবর দেখুন