চণ্ডীগড়: তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল পঞ্জাব সরকার। সংশোধিত কৃষক আইন বাতিলের দাবিতে দীর্ঘদিনের আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে মৃত্যু কৃষক পরিবারকে চাকরি দিচ্ছে পঞ্জাব সরকার। বৃহস্পতিবার পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং মৃত ১০৪ জন আন্দোলনকারী কৃষক পরিবারের সদস্যকে চাকরি দেওয়ার প্রস্তাব পাশ করেছেন। কয়েকদিনের মধ্যে ওই ১০৪ জন আন্দোলনকারী পরিবারের একজনকে চাকরিতে নিযুক্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রথম থেকেই কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে রয়েছে পঞ্জাব সরকার। কয়েকদিন আগেই ” চাকরি দেওয়ার প্রস্তাব তোলা হয়েছিল। ২৬ অগস্ট প্রস্তাবে অনুমোদন দিলে পাঞ্জাব সরকার। এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিকভাবে কৃষক আন্দোলনের সমর্থকে আরো জোরালো করল বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি।
সংশোধিত কৃষক আইন বাতিলের দাবিতে দেশজুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলন সংগঠিত হয়। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কৃষক বিরোধী বলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সরব হতে থাকে। কংগ্রেস তৃণমূল সহ একাধিক রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানায়। সংসদের উভয় কক্ষের বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা সমস্যা সমাধানের দাবি জানায়। সুপ্রিম কোর্টও কেন্দ্র সরকারকে কৃষক আন্দোলন নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার কথা জানাতে নির্দেশ দেয়। কারণ দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন চলতে পারে না বলেও শীর্ষ আদালত মত প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন- ৩১ অগস্টেই আফগানিস্তানের উদ্ধার অভিযান শেষ করবে যুক্তরাষ্ট্র
চলতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন দিল্লির রাজপথে নেমে তাণ্ডব চালায় প্রতিবাদী কৃষক সংগঠনগুলি। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে কৃষকদের। যার জেরে মৃত্যু হয়েছিল কয়েকজন কৃষকের। আহত হন প্রচুর কৃষক।
লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা নামিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাকে কেন্দ্র করে যথেষ্ট বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল জাতীয় রাজনীতিতে। ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে দিল্লি পুলিশ সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। গ্রেফতারও হন বহু নেতা। তারপর দেশে করোনা পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করতে থাকলে কৃষক আন্দোলন স্তিমিত হয়ে যায়।