কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: গজরাজের সামনে নেংটি ইঁদুরের জুজুৎসুর প্যাঁচ কষা। চীনের বিরুদ্ধে ভারতের তর্জন-গর্জন খানিকটা তাই। যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব। সেই কফির কাপে ধূমায়িত বিতর্কে জল ঢেলে চীনের রাজধানী বেজিংয়ে হয়ে গেল ভারতীয় নৃত্যকলার এক অনুষ্ঠান। চীনের প্রবাদপ্রতিম ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী ঝাং জুন-এর স্মৃতিতে মঞ্চে নাচলেন একঝাঁক চৈনিক নৃত্যশিল্পী। তাও আবার কত্থক, ভারতনাট্যম ও ওডিশি নাচ।
ঝাং জুন হলেন প্রথম চীনা মহিলা, যিনি ভারতে এসে দীর্ঘদিন ধরে এখানকার শাস্ত্রীয় নৃত্য শিখেছিলেন। দেশে ফিরে সেখানেও কত্থক, ভারতনাট্যম ও ওডিশি শেখার স্কুল খুলেছিলেন। ২০১২ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর স্মৃতিতেই আয়োজিত হয়েছিল এই নৃত্যানুষ্ঠান। কোভিডের জেরে লকডাউনের বিধিনিষেধের ঘেরাটোপে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল বেজিং। সেই একঘেয়েমি কাটিয়ে ঝাংয়ের প্রায় ৩০০ ভক্ত এশিয়া ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক অডিটোরিয়ামে নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সেখানে কচিকাঁচা শিক্ষার্থী থেকে দেশের স্বনামধন্য নৃত্যশিল্পীরা ছিলেন। যাঁরা জীবনের অধিকাংশ সময়টাই ভারতীয় নৃত্যকলা সাধনায় কাটিয়ে দিয়েছেন। ঝাংয়ের মৃত্যুর ১০ বছর পূর্তিতে তাঁর একনিষ্ঠ শিষ্য জিন শান শানের কাছে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা ছিল এক স্বপ্ন।
আরও পড়ুন: G7 Summit: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে শুরু হচ্ছে জি-৭ বৈঠক, জার্মানিতে মোদি
ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন চীনে নিযুক্ত ভারতীয় দূত প্রদীপকুমার রাওয়াত এবং চীনের প্রাক্তন অর্থ উপমন্ত্রী লিকুন। যিনি তামিল ও হিন্দি সঙ্গীতে সঙ্গে নাচ দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন। ১৯৫০ সালে ঝাং জুন প্রথম ভারতে এসে শাস্ত্রীয় নৃত্য শেখেন এবং এর অনুরাগী হয়ে ওঠেন। এরপর তিনি মোট সাতবার আসেন ভারতে। বিরজু মহারাজ, উদয়শঙ্করের কাছে নাচের তালিম নেন। তৎকালীন মাদ্রাজ, বর্তমানের চেন্নাইয়ে কলাক্ষেত্রতে ভারত নাট্যমের তালিম নিয়েছিলেন তিনি।